পাইকগাছায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসত বাড়িতে হামলা-ভাংচুর:গৃহবধূকে শ্লীলতাহাণি

0
255

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ
পাইকগাছার কপিলমুনিতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা একটি অসহায় পরিবারের বসত ভিটায় হামলা চালিয়ে রান্না ও গোয়াল ঘর ভাংচুর বেড়া তছরুপ ও এতে বাঁধা দেয়ায় রোজিনা বেগম(৩০) নামে এক গৃবধূকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও শ্লীলতাহানী করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ সলুয়া গ্রামে।
ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ঘটনার সময় বাড়িতে শুধুমাত্র রোজিনা একা থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী গৌর পদ হালদার গং সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটায়। এসময় তারা রোজিনার গলায় থাকা বারো আনা ওজনের একটি স্বর্ণেও চেইন ছিনতাই করে বলে অভিযোগে জানানো হয়।অভিযোগে আরো জানাযায়,পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের মৃত ছদন সরদারের ছেলে শহর আলী সরদার যথাক্রমে গত ১৯৯০ সালের ৩ জুন একই এলাকার মৃত সর্ব্বেশ্বর চৌধূরীর ছেলে নিরাপদ চৌধূরীর নিকট থেকে স্থানীয় রামচন্দ্র মৌজার এসএ ৯৫০ খতিয়ানের ২৪৬ ও হাল ৩০৮ দাগের মধ্য থেকে ১৬.৫০ শতাংশ ও পরে ১৯৯২ সালের ২৭ এপ্রিল নিরাপদ চৌধূরীর স্ত্রী ইন্দু বালা চৌধূরীর নিকট থেকে দ্বিতীয় দফায় এসএ ৩১ খতিয়ানের ৩০৭ দাগের মধ্য থেকে ১৩.৫০ শতাংশসহ সর্বমোট ৩০ শতাংশ জমি ক্রয় করে সেই থেকে সেখানে বসতবাড়ী নির্মাণপূর্বক স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভোগ-দখল করে আসছেন।

একপর্যায়ে তার জমি দাতাদের এক শরীক মৃত অমূল্য হালদার বিআরএস জরীপে তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে কৌশলে প্রায় ৩ শতাংশ জমি অতিরিক্ত কর্তন পূর্বক তার নামে রেকর্ড করায়। তবে খরিদা সূত্রে ৩০ শতাংশ জমির পুরোটাই শহর আলীর দখলে রয়ে যায়। সর্বশেষ ঐ রেকর্ড সংশোধনের জন্য শহর আলী গত ২০১৫ সালের ৩০ জুন পাইকগাছা সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা করেন। যার নং-দে:১৬২/১৫। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে মৃত অমূল্য হালদারের ছেলেরা যথাক্রমে গৌর পদ হালদার,নিতাই হালদার,নিমাই হালদার,গোবিন্দ হালদার ও কুমারেশ হালদার তাদের পিতার নামে অতিরিক্ত রেকর্ডকৃত ৩ শতাংশ জমি জবর দখলের জন্য বিভিন্ন সময় হামলা ও মিথ্যা মামলায় হয়রাণী করে আসছেন। যার সূত্র ধরে সর্বশেষ ঘটনার দিন শহর আলী সরদার,তার স্ত্রী কপিলমুনি কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী কাম সুইপার রুপজান বেগম,ছেলে শাহজান ও তার ছেলে-মেয়েরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে গৌর পদ হালদারের ছেলে লাল্টু হালদারের নেতৃত্বে তার বাবা-কাকারা সংঘবদ্ধ হয়ে শহর আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে কুঞ্চির সীমাণা বেড়া উঠিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তাদের রান্নাঘর ও গোয়াল ঘর ভাংচুর করে। এসময় বাড়িতে উপস্থিত একমাত্র পুত্রবধূ রোজিনা বেগম(৩০) বাঁধা দিতে গেলে তারা তাকে শারীরীকভাবে লাঞ্ছিত ও এক পর্যায়ে শরীরের কাপড়-চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহাণি ঘটানায়এব্যাপারে গোবিন্দ হালদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বেড়া তছরুপের কথা স্বীকার করলেও কোন ঘর ভাংচুরের কথা স্বীকার করেননি। এসময় তিনি বেড়া তছরুপের কারণ সম্পর্কে এ প্রতিনিধিকে বলেন,সম্পত্তির প্রায় ৩ শতাংশ জমি শহর আলী বেশী ভোগ-দখল করছে,তা দখলে নেয়ার জন্য তারা বেড়া সরিয়ে তাদের পুকুরে ফেলে দিয়েছে।এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,তাদের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে ইতোপূর্বে স্থানীয় কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দারকে নিয়ে একাধিকবার বসাবসি করেও কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেননি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here