খবর ৭১ঃ মুঠোফোনে শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি ও বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এক ভিক্ষুকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে মুঠোফোনের সিম কিনেছিলেন। এরপর একইভাবে ওই ভিক্ষুকের নামেই সিমগুলোতে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল।
আজ বৃহস্পতিবার র্যাব সদর দপ্তরের সহকারি পরিচালক সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বান্টিবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১-এর একটি দল। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, সৈয়দ আকতার হোসেন লিটন (৪৫), মুকলেসুর রহমান ওরফে দয়াল বাবা (৫২) ও দুলাল ওরফে দুলাল পাগলা (৩২)।
এই বিষয়ে র্যাব-১১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী শামশের উদ্দিন জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মমতাজ হাসান নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে, এক শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে তার কাছে ফোনে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ পেয়ে র্যাব তদন্তে নেমে জানতে পারে, যে মুঠোফোন নম্বর দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে তা আজিজ নামের এক ভিক্ষুকের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কেনা হয়েছে। এরপর তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে ফোন ট্র্যাক করে প্রতারক চক্রের এই তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাজী শামশের উদ্দিন আরও জানান, এই চক্রের মূল নেতা লিটন। তিনি মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়ান। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার মোখলেসুর রহমানেরও প্রথম দেখা হয় এক মাজারে। একইভাবে তাদের সঙ্গে দুলাল নামের গ্রেপ্তার অপর ব্যক্তিরও পরিচয় হয়েছিল। এরপর গত কয়েক বছরে তাদের তিনজনের মধ্যে বেশ গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা তিনজন মিলে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিম ব্যবহার করে জীনের বাদশা বা শীর্ষ সন্ত্রাসী সেজে ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছে থেকে টাকা আদায় করতেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। প্রতারণার অভিযোগে এর আগেও লিটন একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
খবর ৭১/ইঃ