বাগেরহাটে ব্যতিক্রম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী আদর্শ ক্যাডেট একাডেমী

0
557

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ত্রি-মুখি শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়েছে ইসলামী আদর্শ ক্যাডেট একাডেমী। গণীত, ইংরেজী, বাংলা ও আরবি ভাষার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে সমান তালে। আগামী প্রজন্ম সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুন্দর সমাজ গঠনে অগ্রনী ভুমিকা রাখবে সে প্রত্যাশায় এমন উদ্যোগ গ্রহন করে এই প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকে একাডেমীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কোমল মতি শিশুদের ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে রেখে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলা, ইংরেজী, গনিত শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর হাতের লেখার জন্য দেওয়া হয় নিয়মিত প্রশিক্ষণ। নিয়মিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশু বয়স থেকেই তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষায় মেধা বিকাশে বেশ এগিয়ে এই ক্যাডেট একাডেমী।  সকল কর্মকান্ড প্রযুক্তি নির্ভর (ডিজিটাল)করেছে কর্তৃপক্ষ। ভর্তি আবেদন, বেতন পরিশোধ, রেজাল্টসহ সবকিছুই চলে অনলাইন পদ্ধতিতে। শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চত করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। রয়েছে শরীর চর্চা ও খেলাধুলার জন্য বিদ্যালয়ের সামনে নিজস্ব খেলার মাঠ । যাতে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে শরীর সুস্থ রেখে মনন সই মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে । প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের রয়েছে একই ধরণের পোশাক। ২০১৩ সালে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিঃ এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক তার চিন্তায় প্রতিষ্ঠা করে বাগেরহাট ইসলামী আদর্শ ক্যাডেট একাডেমী।

শহরের ছোট কবর খানা মোড়ে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে প্লে থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে শিশুদের পাঠদানে ব্যস্ত শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অনুমতি নিয়ে শ্রেনীকক্ষে গিয়ে কথা হয় কোমল মতি শিশুদের সাথে। কোমল মতি ওই সব শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা শিক্ষকদের আচরণ ও পাঠদানে খুবই সন্তুষ্ট। প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুরে বের হবার পথে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সাথে আসা কয়েক জন অবিভাবকদের সাথে। তারা বলেন আসলে বাগেরহাটের অন্য প্রতিষ্ঠান গুলির চেয়ে ব্যতিক্রম, কেননা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায় ,প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যাবস্থ, ডিজিটাল ক্যাম্পাস, রুচিসম্মত পোশাক ও ধর্মীয় অনুশাসনের আলোকে পাঠদান। এক কথায় চাহিদা মোতবেক পরিবেশ। তাছাড়া সন্তান স্কুলে পৌছানো মাত্রই আমাদের ফোনে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারি।

প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবস্থপনার দায়িত্বে থাকা ‘নেটিজেন আইটি’র প্রতিনিধি সবুজ হোসেন বলেন সরকারের ডিজিটালাইজড শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গঠনের পরিকল্পনা সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের প্রতিষ্ঠান কাজ করে, আর সেই দিক থেকে বাগেরহাটের অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বাগেরহাট ইসলামী ক্যাডেট একাডেমী এগিয়ে।এখানের প্রায় সকল শিক্ষক আইটি বিষয়ে দক্ষ হওয়াতে আমাদের কাজ সহজ হয়ে গেছে, এবং প্রতিষ্ঠানকে নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে সাঁজাতে প্রতিষ্ঠান  সর্বদা সচেষ্ট।
শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বইতে পাঠদান করে থাকি। আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান মানসিক ও   শারীরিক বিকাশে আমরা যথেষ্ট যত্নবান। দুই বছর পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাশের পাশাপাশি এ প্লাস এবং বৃত্তী ও পেয়েছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মুফতি রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীদের সামাজিক ভাবে পরিপূর্ণ আদর্শ মানুষ গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের আমরা এমন ভাবে শিক্ষাদান করি যাতে একজন শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেনী পাশের পরে যে কোনো শিক্ষা মাধ্যমেই পড়াশুনা করতে পারে ।এছাড়াও আমরা প্রতি মাসে অভিভাবকদের সাথে মত বিনিময় সভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি, সুবিধা, অসুবিধা যাচাই করে থাকি। সর্বপরি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে নানা শ্রেনী পেশার মানুষ তাদের সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে বেছে নিচ্ছেন ।
বাগেরহাট ইসলামী আদর্শ ক্যাডেট একাডেমীর স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এমএ মান্নান তালুকদার জানান, দেশে প্রচলিত বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেকোন একটি বিষয়ের উপর শিক্ষা দান করে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় সকল প্রকার শিক্ষা থেকে    হচ্ছে। বাস্তব জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন  হতে হয়। তাই শিশুদের পূর্নাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস। এছাড়া বাগেরহাটে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here