সুন্দরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সাইকেল আরোহী নিহতের নেপথ্যে

0
279

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সড়ক ঘর্টনায় জিতেন চন্দ্র সাহা (৫৫) নামে বাইসাইকেল আরোহী নিহতের ঘটনার নেপথ্যে এনজিও কর্মী মোটরসাইকেল আরোহী সেই মহিলা বেঁচে গেলেও জরিমানা দিতে হয়েছে অন্য একটি অটোবাইকের চালককে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জগামী মিনি-বিশ্বরোডে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের আনোয়ারের মোড় নামক স্থানে জিতেন চন্দ্র সাহা স্থানীয় ডোমেরহাট বাজারের মোজম্মেল হকের হোটেলে বাবুর্চির কাজ করে প্রতিদিনের ন্যায় বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার সময় এর পিঁছন দিক থেকে আসা একটি এনজিও কর্মী এক নারীর দ্রুতগামী মোটরসাইকেল তাকে স্ব-জোড়ে ধাক্কায় দেয়। এতে জিতেন চন্দ্র একটি অটোবাইকের ধাক্কায় খেয়ে তার পিঁছনের আরেকটি অটোবাইকের চালকের কাছে পড়ে যায়। আর এনজিওকর্মী ঐ নারী মোটর-সাইকেল আরোহী রাস্তার ধারে (পশ্চিম পার্শ্বে) পড়ে যায়। এতে এনজিও কর্মীর মোটর-সাইকেলে ইনডিগেটর ভেঙ্গে যায়। এরপর এনজিওকর্মী মটরসাইকেল আরোহী ঐ নারী প্রথমের অটোবাইকটিকে আটকানোর চেষ্টায় ব্যার্থ হন। তিনি নিরুপায় হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তরকারীবাহী দ্বিতীয় অটোবাইকে গুরুতর আহত জিতেন চন্দ্র সাহাকে তুলে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার জিতেন চন্দ্র সাহাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, তাঁরা এ দুর্ঘটনার জন্য ঐ এনজিওকর্মী ও তার মোটরসাইকেল আটক করেন। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের সম্মুখে এসআই মামুনুর রশিদ, এসআই ফুল মিয়ার প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে ঐ এনজিওকর্মী মোটরসাইকেল আরোহী স্বীকার করেন যে, তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা খেয়ে নিহত ব্যক্তি যে অটোতে ২য় দফা ধাক্কা খায়। সে অটোবাইক চলে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে আহত জিতেন্দ্র নাথকে নিয়ে আসা অন্য অটোবাইক ও তার চালক মোকছেদুলকে আটক করে থানা নিয়ে রাতেই ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে, প্রত্যক্ষদর্শী রেহেনা বেগম, তার পিতা চাঁন মিয়া, আরিফ উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল ইসলাম, জহুরুল হক ও তাদের বর্ণনা মতে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বসুনিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তাঁরা দুর্ঘটনার জন্য এনজিওকর্মী ঐ মোটরসাইকেল আরোহী নারীকে দায়ী করছেন। তাদের মাঝে এ নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here