খবর ৭১ঃ ৫৮ মাস ধরে বকেয়া থাকা বেতন প্রদান ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশন শুরু করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চার কর্মচারী। এছাড়াও ১০ দফা দাবী সম্বলিত ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়ন প্রশাসনিক ভবনে টানালে প্রশাসন তা খুলে ফেলেছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দপ্তরের সামনে অনশনে বসা এই চার কর্মচারী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না বলেও জানিয়েছেন। বিভিন্ন দফতরে কাজ করেও ৫৮ মাস ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া কর্মচারীরা হলেন- আছমা খাতুন, আমেনা খাতুন, মিজানুর রহমান ও মোশারফ হোসেন।
জানা যায়, ‘২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাত্র চার মাস পর্যন্ত বেতন পাওয়ার পর হঠাৎ বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যায় অনশনে থাকা চার কর্মচারীর। পরে ওই বছরের মে মাস থেকেই ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই নিয়োগ হওয়ায় বেতন বন্ধ হয়ে যায় পদের অতিরিক্ত ৩৩৩ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর। পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তরা স্থায়ী হলেও বাদ পড়েন অনশনে থাকা এই চার কর্মচারী। এরপর বিভিন্ন সময় এই দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘোরাঘুরি করেও তাদের দাবীর বিষয়ে প্রশাসন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলেও জানান তারা।
ব্যানার খুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর আতিউর রহমান বলেন, দাবি যৌক্তিক বা অযৌক্তিক সে প্রশ্ন নয়। ব্যানারটিতে কোন পক্ষের নাম না থাকায় খুলে নেওয়া হয়েছে।
বেরোবি কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শাহিন বেগ বলেন, ‘ব্যানারে নাম ছিল না এটা ঠিক। তবে যৌক্তিক দাবি জেনেও প্রশাসনের এমন আচারণ শোভনীয় নয়। তারা দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচীতে যাবেন বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
খবর ৭১/ইঃ