খবর৭১ঃ জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির জেরে কাজাখস্তানে শুরু হওয়া সহিংস বিক্ষোভ থামাতে রাশিয়ার সেনা পাঠানো হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাশিয়ার প্যারাট্রুপার বাহিনী সেখানে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার গার্ডিয়ানের এক খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টকে সাহায্য করতে মস্কো নেতৃত্বাধীন কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) বাহিনী এসেছে।
এক দিনে আগে বুধবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে কাজাখস্তানে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আসকার মমিন পদত্যাগ করেন। এরপরও পরিস্থিতি শান্ত্ব না হওয়ায় রাতে প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ পরিস্থিতি শান্ত করতে সিএসটিওর সাহায্য কামনা করেন। রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে তৈরি পাঁচটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত এ জোট। রাশিয়া নেতৃত্বাধীন এই জোটে আরও রয়েছে আর্মেনিয়া, বেলারুস, কাজাখস্তান কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে কাজাখস্তানে বিক্ষোভ শুরু হলেও এতে বিদেশি ইন্ধন ও দূরভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ। বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেওয়ায় মারা গেছেন পুলিশ সদস্যসহ বেশ কজন। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। আলমাতির পুলিশ মুখপাত্রের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সরকারি ভবনে হামলার পর ডজনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। শহর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩৫৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন ১২ জন। এ সহিংসতায় বিদেশি গ্যাং জড়িত বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন।
এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হামলার শিকার হওয়ায় কাজাখস্তানের জাতীয় ব্যাংক সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এক বিশ্লেষণে বিবিসি বলেছে, বিক্ষোভ দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে এ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, শুধু জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে এটি হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভের ভাষণের পর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও সিএসটিওর চেয়ারম্যান নিকোল পাশিনিয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো হবে।