খবর৭১:অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের সামান্যতম পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতির ইভিএম মেশিন আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার এই সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিরই মহাপরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের ছাড়া বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও জনমতকে উপেক্ষা করে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন সিইসি। কিন্তু দু’দিন আগে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাহাদাত হোসেন ৮০ থেকে ১০০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন। যা আরও গভীর চক্রান্ত বলেই সকলেই বিশ্বাস করছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা পর তার কোনো চিকিৎসা চলছে না অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘নিয়মিত যে থেরাপী দেয়া হতো তা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে, বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ। আমি এই মুহূর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দেয়া, গ্রেফতার ও হয়রানী বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলেও এখনও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা দায়ের করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, তল্লাশীর নামে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খবর৭১/জি