উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর হস্তক্ষেপে নড়াইল জেলার সরুশুনা ও কামার গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের চলমান দ্বন্দের অবসান হয়েছে। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরুশুনা প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে নড়াইল জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত এক বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটে।চেয়ারম্যান মোঃ দাউদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, (পপিএম) এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম,(পপিএম), সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (প্র.বি.) মোঃ ইশতিয়াক আহম্মেদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ডিবি পুলিশের ওসি আশিকুর রহমানের নড়াইল জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সরুশুনা ও কামার গ্রামের বাসিন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, ক্লাবটির সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় পুলিশ সুপার দুই গ্রামের বাসিন্দাদের একত্রিত করে মারামারি-হানাহানির কুফল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দাঙ্গা, হাঙ্গামা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। এগুলো পরিত্যাগ করলেই সমাজে শান্তি বিনষ্ট হবে। এসময় দুই গ্রামের দলনেতাদের ডেকে নিয়ে তাদেরকে সংঘর্ষের কুফল খুলে বললে তারা দলাদলি পরিত্যাগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। পুলিশ সুপার আরও বলেন, মাদক, জঙ্গি সন্ত্রাস সমাজ ধ্বংসের মূল হাতিয়ার। কাজেই সকলকে এ ধরনের অপদ্রব্য থেকে দূরে থাকতে হবে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর এরূপ মহৎ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নড়াইলবাসী। ভবিষ্যতে নড়াইল জেলা পুলিশের এ হস্তক্ষেপে জেলার সকল প্রান্ত থেকে এভাবেই দলাদলি বিলুপ্ত হবে বলেও আশা করছেন নড়াইলের বাসিন্দারা। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। জানা যায়, নড়াইল জেলার সরুশুনা ও কামার গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ সংঘাত চলে আসছে। সামান্য কারণে ওই এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ কারণে পুলিশ সুপার নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ওই এলাকার দ্বন্দ অবসানে শালিশ বৈঠক করে এ সমস্যার সমাধান করেন।
খবর৭১/ইঃ