আবারও উত্তাল হংকং

0
524

খবর৭১ হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রোববারও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির কেন্দ্রীয় এলাকার রাস্তাঘাট দখলে নেয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। আগের দিনই দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছে।

কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই ফের স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছে চীনা সেনাবাহিনী।

এবার বিক্ষোভকারীদের প্রতি হুশিয়ারি দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। বলেছে, বেইজিং আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।

সিনহুয়া রোববার বলেছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকার অলসভাবে বসে থাকবে না এবং এ পরিস্থিতি চলতে দেবে না। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, হংকং সমস্যা সমাধান করতে পারবে এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারবে।’

টানা ৯ সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভ-প্রতিবাদে কার্যত অচল হয়ে গেছে হংকং। অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে জুনে গণতন্ত্রপন্থীরা আন্দোলন শুরু করে। দাবির মুখে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বিলটিকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন। তবে তিনি এটি বাতিল করেননি।

এর পরই ল্যামের পদত্যাগ, জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনে নামে গণতন্ত্রপন্থীরা। এখন তারা ল্যামের পদত্যাগ, জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। সোমবার আন্দোলনকারীরা ফের ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে।

চলতি সপ্তাহেই বিক্ষোভকারীদের হুশিয়ারি দিয়ে হংকংয়ে মোতায়েন চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) কমান্ডার চেন ডাওজিয়াং জানান, অশান্তি চলতে থাকলে কড়া হাতে মোকাবেলা করা হবে। এরপর বুধবার ৩ মিনিটের একটি প্রচারণা ভিডিও ছেড়ে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দেয় পিএলএ।

১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনাধীন শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ চীনপন্থী প্রশাসক ক্যারি ল্যাম বেইজিংয়ের মদতে গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার চীনপন্থী দুষ্কৃতীরা বিক্ষোভকারীদের জমায়েতে হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ।

পাশাপাশি হংকং পুলিশও ‘সক্রিয়তা’ জারি রেখেছে। হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা করা হয়েছে। এদিন বিক্ষোভ জমায়েত থেকে অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের ওপর থেকে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। চীনা সেনাবাহিনীর সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই শনিবার মংকক জেলায় বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা একটি পুলিশ স্টেশনের বাইরে অবস্থান নিয়ে আবর্জনার বাক্সে অগ্নিসংযোগ করেন এবং হংকং ও কৌলুন উপদ্বীপের মধ্যে সংযোগকারী ক্রস হারবার টানেলের প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেন। রোববার পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাতভর বেআইনি সমাবেশ ও হামলার অভিযোগে ২০ জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here