খবর৭১:কিছুক্ষণ পরই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হোটেল মেট্রোপোলে ট্রাম্প ও কিম প্রথম ২০ মিনিটের জন্য মুখোমুখি হবেন। পরে তারা ডিনারে যোগ দেবেন। পরদিন বৃহস্পতিবারও তাদের মধ্যে বৈঠক হবে।
আট মাসের কিছু বেশি সময়ের ব্যবধানে এই দুই নেতা আবারো বৈঠকে বসছেন। অথচ এক বছর আগেও তাদের বৈঠকের বিষয়টি ছিল অকল্পনীয়। ট্রাম্প ও কিম তর্কযুদ্ধ, কাদা-ছোড়াছুড়ি, পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে জড়িয়েছিলেন। নজিরবিহীন কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় পাল্টায় এ দৃশ্যপট। আর এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বড় ভূমিকা রাখেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন।
সিঙ্গাপুরের বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে বিদ্যমান মতপার্থক্য কমাতে দুই দেশের মধ্যে আস্থার সেতু তৈরির চেষ্টা করা হয়। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ অগ্রগতির বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি এখনো। যদিও উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারা নতুন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেনি। দুই নেতার দ্বিতীয় দফা বৈঠকেও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুই জনই ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে দুই দেশের মধ্যে বিগত সাত দশকের ঐতিহাসিক বৈরিতার অবসান আর পারমাণবিক নিরস্ত্রীরণের সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছেন কি না, সেদিকেই দৃষ্টি সারা বিশ্বের।
মঙ্গলবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ এয়ারফোর্স ওয়ান হ্যানয়ের নই বাই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এর আগে সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভিয়েতনামে পৌঁছান কিম জং–উন।
এদিকে, দুই নেতার বৈঠক ঘিরে রাজধানী হ্যানয়ে এখন সাজসাজ রব। ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় সেজে উঠেছে হ্যানয়।
ভিয়েতনামে পৌঁছে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, ‘ভিয়েতনাম বিশ্বের গুটি কয়েক সমৃদ্ধশালী দেশের অন্যতম। উত্তর কোরিয়াও সেটি হতে পারে, এবং খুব শিগগিরই, যদি দেশটি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার ভয়ানক সম্ভাবনা আছে, এটা সুবর্ণ সুযোগ, যেটা অন্য কোনো ইতিহাসে নাই, আমার বন্ধু কিম জং-উনের জন্য। খুব দ্রুতই এটা আমরা জানতে পারব, খুবই চমকপ্রদ!,’
খবর৭১/জি