​বিএনপি এখন ‘বাকশাল’ আতঙ্কে: নাসিম

0
272

খবর৭১ঃ বিএনপি এখন বাকশাল আতঙ্কে রয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, ‘বাকশাল একটি দর্শন। সেই দর্শনের কথাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন। কিন্তু বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা কেউ বলেনি। শেখ হাসিনা সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও শক্তিশালী করেছেন। বাকশাল প্রতিষ্ঠার কোনো বাস্তবতা এখন আর নেই। অথচ বিএনপি বাকশাল ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত আছে।’

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা: ধর্মনিরপেক্ষতার সংকট ও সম্ভবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দেশে আমাদের চেয়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি আর কেউ করে না। ধর্মীয় অপপ্রচার বিএনপি-জামায়াত কয়েক যুগ ধরে করেছে। গণতন্ত্রের কথা তাদের মুখে শোভা পায় না, এতে মানুষ হাসে।’

বিএনপিকে অপপ্রচার না চালিয়ে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠে-ময়দানে, কৌশলে নির্বাচনে সব জায়গায় তারা পরাজিত হয়েছে। তবে তারা নিস্তেজ হলেও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। তাই ১৪ দল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাবে।’

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, ‘উদার গণতন্ত্র এবং সুশাসন-অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দুটি এক সঙ্গে চাইলে হবে না। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে কিছু ক্ষেত্রে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম, তখন হাইকোর্ট ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিতো। অনেক মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ভেজাল ওষুধের ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু উচ্চতর আদালতের নির্দেশে বন্ধের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। এতে অনিয়মকারীরা উৎসাহিত হয়। জনস্বার্থে বিষয়টি আদালতকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে জামায়াতের চিন্তা পরিবর্তিত হয়নি। তারা আবার স্বরূপে ফিরে আসতে চাইছে। দুঃখের বিষয় তাদের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের জায়গা দখল করেছে হেফাজত। শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে তার প্রভাব বিস্তার করছে। ধর্মনিরপেক্ষতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়তে সরকারকে এ দিকে নজর দিতে হবে। তাহলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্বাচন, রাজনীতি ও সামাজিকভাবে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।’

এছাড়াও বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here