খবর৭১ঃ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট। বনানীর ফারুক রূপায়ণ (এফআর) টাওয়ারে ঠিক বিপরীত পাশের এসএমসি ভবনে ডেস্কে বসে কাজ করছিলেন মাহমুদুল হক কিরণ।
ডেস্কের পর্দা সরানো থাকায় হঠাৎ চোখ বাইরে যেতেই দেখতে পান ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা। দ্রুত ফোন হাতে নিয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে প্রথম আগুনের খবর জানান তিনি।
মাহমুদুল হক কিরণ বলেন, ফোন রিসিভ করে অপর প্রান্ত থেকে ভবনের ঠিকানা জানতে চান। জানানোর প্রায় ৩০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় আরও অনেক পর।
আগুনের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে কিরণ বলেন, আগুন আর ধোঁয়ার তাপে ভবনের ফাইবার গ্লাসগুলো ভেঙে ভেঙে নিচে পড়ছিল। তাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকে ঝুলে নিচে নামার চেষ্টা করেন। নিচে নামার সময় হাত ফসকে পড়ে যান কয়েকজন।
লিংক থ্রি ইন্টারনেটে কাজ করা কিরণ আরও বলেন, চোখের সামনে মানুষের এমন বাঁচার আর্তনাত দেখে সহ্য করা যায় না। ভবনে আটকে পড়া মানুষ বাঁচার জন্য শুধু আকুতি করছিল।