হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গের ‘চিনাই নদীর’ ব্রীজটি ৫ বছর ধরে পরিত্যক্ত ॥ দূর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

0
312

খবর৭১ঃ মঈনুল হাসান রতন , হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ‘চিনাই নদীর’ ব্রীজটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষকে। বার বার জনপ্রতিনিধিদের দোয়ারে ধর্ণা দিয়েও কোন উপকার পাচ্ছেন না ভূক্তভোগীরা। জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ‘চিনাই নদীর’ উপর প্রায় শতাধিক বছরের পোড়নো ব্রীজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ ব্রীজটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও নজর নেই ব্রীজটির দিকে। ফলে ব্রীজটি জীবন নাশের কারণ হতে পারে বলে মনে করে ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রায় ৫ বছর ধরে জনগণ ব্রীজটি ব্যবহার না করায় নদী পারাপারে তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ।স্থানীয়রা জানান, শুকনো মৌসুমে নদীর উপরে বাঁশের চট বিছিয়ে নদী পাড়াপার হচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিশু-বৃদ্ধরা নদী পাড় হতে গিয়ে অনেক সময় পিছলে পড়ে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া পাড়াপর হওয়ার আর কোন মাধ্যম নেই এখানে। অথচ এই রাস্তা দিয়েই উপজেলাসহ জেলা সদরে আসতে হয় বানিয়াচং উপজেলার ৫/৬টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে। সেই সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার ২/৩টি গ্রামের আরও ৫ হাজার মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন।ব্রীজটি সংস্কারের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ণা দিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। অথচ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টো উপজেলা চেয়ারম্যানও স্থানীয় সাংসদের উপর দায় চাপিয়ে দেন তিনি।এ ব্যাপারে কলেজছাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন- ‘দীর্ঘদিন ধরে এই ব্রীজটি পরিত্যক্ত পড়ে আছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে আমরা ব্রীজটি ব্যবহার করতে পারছি না। ফলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।অন্য এক স্থানীয় বাসিন্ধা মো. জীবন মিয়া বলেন-‘বার বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দোয়ারে ধর্ণ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে আমাদের অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এ ব্যাপারে স্থানীয় পৈলারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল রহমান খান বলেন- ‘ব্রীজগুলো দেখা আমাদের বিষয় না। এটি উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি সাব দেখবেন। আমরা শুধু বিষয়টি তাদের কাছে উপস্থাপন করতে পারি।’ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছেন কি না ? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘এগুলো দীর্ঘ প্রক্রিয়া । ঢাকা থেকে অর্ডার আসবে, টেন্ডার হবে এরপর কাজ।

খবর৭১ /জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here