হঠ্যাৎ পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙ্গন শিবচরে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে

0
391

এস. এম. রাসেল, মাদারীপুরঃ
২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীতে শিবচরের চরা লে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারন করেছে। নদী ভাঙ্গনে আক্রান্ত হয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট প্রাথমিক স্কুল ভবনসহ দুটি ইউনিয়নের ২টি স্কুল, প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক, একটি কালভার্ট। এ নিয়ে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে চরা লের ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৩টি স্কুল ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়ে নদী গর্ভে পড়েছে। এছাড়াও গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে হাট বাজার ইউনিয়ন পরিষদ ভূমি অফিস কমিউনিটি ক্লিনিক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সহ¯্রাধিক ঘরবাড়ি।
জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টাসহ ২/৩ দিনে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার চরা লের চরজানাজাত, কাঠালবাড়িসহ ৩টি ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নদী ভাঙ্গন আগ্রাসী রুপ নিয়ে বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৭২ নং নারিকেল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি ভাঙ্গন আক্রান্ত হয়। ভাঙ্গনে স্কুলটির বড় একটি অংশ নদীতে হেলে পড়েছে। এছাড়াও ভাঙ্গন আক্রান্ত হওয়ায় চরজানাজাত ইউনিয়নের মালেক তালুকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বন্দরখোলা-কাজীরসুরা সড়কের দেড় কিলোমিটার নবনির্মিত সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর আগে চরজানাজাত ইউনিয়নের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি কয়েকদিন আগে ভাঙ্গন আক্রান্ত হওয়ায় সরিয়ে নেয়া হয়। এছাড়াও মজিদ সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে নদী থেকে মাত্র ১শ গজ দুরে প্রবল ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে ৩টি ইউনিয়নে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে খাসেরহাট, চরজানাজাত ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, একাধিক স্কলসহ ঘর বাড়ি। উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন মোল্লাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছে।
শিবচর উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন বলেন, এ নিয়ে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে তিনটি স্কুল আক্রান্ত হলো। প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা সড়ক নদীতে বিলীন হয়েছে। বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্কুলগুলো স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আর ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here