স্বাধীনতা দিবসে খালেদার মুক্তিতে শপথ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের

0
227

খবর৭১ঃ স্বাধীনতা দিবসে নেতাকর্মীদের শপথ নেয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা। তাঁকে মুক্ত করেলেই গণতন্ত্র মুক্ত হবে। আসুন সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করি, গণতন্ত্রকে মুক্ত করি।’

রবিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আবারও নির্যাতন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ছদ্মবেশে একটা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালের যে চেতনা, যে আদর্শকে সামনে নিয়ে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং সে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত। স্বাধীনতার অর্থ শুধু একটি পতাকা নয়, একটি ভূখণ্ড নয়। স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে ভূখণ্ডের মানুষের সার্বিক দিক থেকে স্বাধীনতা। তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, রাজনীতিক স্বাধীনতা এবং তাদের মুক্তির স্বাধীনতা।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বারবার বোঝাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন হয়েছে যা অতীতে কখনো হয়নি। পৃথিবীর কাছে আজকে তা একটি রোল মডেল হয়ে আছে। কিন্তু আসলে ভেতরটা ফাঁকা। এই উন্নয়ন হলো দুর্নীতির উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ফলে কিছুসংখ্যক মানুষ ধনী থেকে ধনী হয়েছে। গরিব আরও গরিব হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এদেরকে সরানো ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়।’

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন তাঁর শরীর খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এই সরকার বেগম জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না।’

আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার যতই চেষ্টা করুক, ইতিহাস বিকৃতি করে শহীদ জিয়াকে মুছে দেয়া যাবে না। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে বিএনপিকেই রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করতে হবে। আজকে বিএনপির পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তবেই গণতন্ত্র মুক্তি হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি লড়াইয়ে হবে না, লড়াই করতে হবে রাজপথে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর:(অব:) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, শামসুজ্জামান দুদু, ডা:এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here