সোনারগাঁওয়ে সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে

0
231

মোঃ জহিরুল ইসলাম মৃৃধা,সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে উদ্ববগঞ্জ হয়ে সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে উত্তর দিক দিয়ে চলে গেছে আনন্দবাজার হয়ে বারদী পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি। তবে সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হতে আনন্দবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি বড় বড় খানাখন্দে পানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলরত সকল জনসাধারণ ও পরিবহন যাত্রীদের। এছাড়াও সড়কের পাশে ড্রেনে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় তাতে বৃষ্টির পানি জমা হয়ে রাস্তার অনেকাংশ ডুবে থাকে ও পরিবহন যাত্রীসহ স্থানীয় জনসাধারনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বেহাল দশার কারনে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বয়োঃবৃদ্ধ যাত্রী সাধারণ। এমনকি মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেও মুসুল্লীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে আনন্দবাজার খালের উপর নির্মিত ষ্টিলের কালভাটর্টি জড়াজীর্ণ থাকায় উপমহাদেশের আধ্যাতিক সাধক শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে পর্যটকরা, পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসুর বাড়ী থাকায় ও সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, নরসিংদী ও বিরামপুরের হাজার হাজার যাত্রী প্রতিদিন মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করছেন।

জানা যায়, ১৯৭৫ সালের পর সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে উত্তর দিক দিয়ে আনন্দবাজার হয়ে বারদী পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করা হয়। পরে ভারী যানবাহন চলাচলের কারনেই ইট, বালু, খোয়া, পিচ সব উঠে গেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতার কারনেই এর কোন উন্নয়ন হচ্ছে না।তাছাড়াও ট্রাক, লড়ি, নসিমন, মাইক্রো, লেগুনা, সিএনজি ও রিক্সা চলাচল করে এ সড়কটি দিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সর্বোচ্চ ২০ টন ওজন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই ফ্রেশ,আমান ও বেঙ্গল কোম্পানীর কাভার্ডভ্যান, ট্রাক-লড়িসহ কয়েকশত টন মালামাল বহনকারী ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে এমনকি অতিমাত্রার ভাইব্রেশনের কারনে সড়কটি অচিরেই চলাচলের অযোগ্য ও চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা, বৈদ্যের বাজার ও বারদী ইউনিয়নের এ রাস্তার খানাখন্দ দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার সৃষ্টি হলেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই বলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরীভাবে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা দেখা-নাদেখার ভান করে থাকে। অর্থ্যাৎ এতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন টনকই নড়ছে না।
আনন্দবাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়া জানান, দ্রুত মেরামত করা না হলে যে কোন সময় আনন্দবাজারের কালভার্টটিও ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর ইসলাম জানান, সড়কটি সড়ক ও জনপদের অধীনে থাকায় স্থানীয় সরকার মেরামত করতে পারছে না। তবে দ্রুত মেরামত করার জন্য সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন জানান, সড়কটি মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, অর্থ বরাদ্ধ হলেই মেরামত কাজ শুরু হবে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here