সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে টিপুরদী এলাকা গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হওয়া গুলিবিদ্ধ ডাকাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ডাকাতের নাম খোকন (৩২)।
এছাড়াও অস্ত্রসহ ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। নিহত খোকন রূপগঞ্জ উপজেলার ছনপাড়া গ্রামের হাবু সিকদারের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত রুবেল (১৯) রূপগঞ্জের ছনপাড়া এলাকার তারা মিয়ার ছেলে, সাদ্দাম ওরফে টোকাইক সাদ্দাম (২৫) মুন্সিগঞ্জ জেরার শ্রীনগর থানার বিভানদি গ্রামের জব্বার মিয়ার ছেলে ও জনি (২২) বসুরবাগ গ্রামের বসুরবাগ সোনারগাঁও পৌরসভার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা মহাসড়কের সক্রিয় ডাকাত দলের সদস্য।
সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক সিকদার জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত কয়েকটি ডাকাত চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রাইভেটকার ও পন্যবাহি ট্রাকে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা টিপুরদী এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ডাকাত খোকন, জনি, রুবেল ও সাদ্দামকে গ্রেফতার করে। এসময় ডাকাত খোকন পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে সে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ ডাকাত খোকনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। গ্রেফতারের সময় ডাকাতদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল, একটি চাপাতি, একটি বটি, দুটি রামদা ও চারটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৩ ডাকাতকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খবর৭১/এস: