সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন

0
518

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন রেলওয়ে সাধারণ মানুষের বাহন। সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও আরামদায়ক ভ্রমনে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাধারণ মানুুষের আস্থা অর্জন করেছে রেলওয়ে। রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিযোগিতামূলক বাহন হিসেবে বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেলওয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। আর রেলওয়ের বড় সম্পদ সৈয়দপুর রেলওয়ে কানখানা। সেই বৃটিশ আমলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে ওয়াগন, কোচ সব রেলওয়ের যাবতীয় কাজের সক্ষমতা রয়েছে। রেলমন্ত্রী গতকাল (মঙ্গলবার) দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যাওয়া রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপ দিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম রেলওয়ের জন্য পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করেন। তিনি বর্তমানে যেভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন, তেমনিভাবে রেলওয়ের উন্নয়নেও বিশেষ নজর দিয়েছেন। রেলওয়েকে মৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমানে ভাল অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। তারপরও বর্তমানে রেলওয়ে পরিবহনে অনেক ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী শুণ্যপদে লোকবল নিয়োগ দিয়ে রেলওয়ের সক্ষমতা আরো বাড়ানো হবে। স্টেশন মাষ্টারের সংকটের কারণে বন্ধ থাকা প্রায় ১০০টি স্টেশন অচিরেই চালু করা হবে। এত করে দেশের সাধারণ মানুষ রেলওয়েকে ব্যবহার করতে পারবেন। রেলওয়েকে পর্যায়ক্রমে মানুষের আকাঙ্খা পূরণের মতো বাহন হিসেবে তৈরি করা হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে রেলওয়েকে সচল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। বিনা টিকিটে রেল ভ্রমন না করার জন্যও আহবান জানিয়ে তিনি রেলওয়ের জায়গা ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা যারা রেলওয়ে জায়গায় জমি দখল করে রেখেছেন তা ফিরিয়ে দিয়ে রেলওয়েকে সহায়তা করবেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর সব পরিকল্পনা ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন তারাও দেশের জন্য কোন কাজ করেনি। দেশের জনগণের কল্যানে তাদের ছিলনা কোন স্বপ্নও। তাদের লক্ষ্য ছিল ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে নীলফামারী – ৪ আসনের সাংসদ আহসান আদেলুর রহমান আদেল,রেলওয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সামসুজ্জমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার সহিদুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী) প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক মো. বেলাল হোসেন সরকার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, নীলফামারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান,নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদলসহ রেলওয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী কারখানার অভ্যন্তরে “অদম্য স্বাধীনতা” স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান । পরে তিনি রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেও সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here