সৈয়দপুরে মহাজোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

0
330

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী – ৪ (সৈয়দপুর – কিশোরগঞ্জ) আসনের মহাজোটের লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান (আদেল) এর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে সৈয়দপুরে এক নির্বাচনী কর্মী সভায় ওই আচরণ বিধি লঙঘন করা হয়। নীলফামারী – ৪ আসনে মহাজোট থেকে প্রার্থী হয়েছেন জাপার (এ) মনোনীত আহসান আদেলুর রহমান আদেল। তিনি জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাগ্নে ও নীলফামারী -৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ড. আসাদুর রহমান ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা রহমানের ছেলে। জাপার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তিনি। গত শনিবার রাতে তাঁর লাঙ্গল মার্কার সমর্থনে এক বিশাল নির্বাচনী কর্মী সভা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। মহাজোট প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে শহরের বিমানবন্দর সড়কের লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ওই নির্বাচনী কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আলহাজ¦ মো. আব্দুল সামাদ মন্ডল। এতে সৈয়দপুর উপজেলা ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও জাপার (এ) কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ওই নির্বাচনী কর্মীসভা। সভায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে খাবার হিসেবে বিতরণ করা হয় উন্নতমানের বিরাণী। আর সকাল থেকে সেখানে ওই বিরাণী রান্নাবান্নার কাজ চলে। নির্বাচনী কর্মী সভা শেষে উপস্থিত সকলের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে বিরাণীর প্যাকেট। গত রবিবারও একই স্থানে ওই মহাজোট প্রার্থীর অনুরূপ এক নির্বাচনী কর্মী হয়েছে বলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ওই নির্বাচনী সভায় প্রতি বিরাণী প্যাকেটে খরচ পড়ে প্রায় ২০০ টাকা। আর ৪/৫ হাজার ভোটারের মধ্যে বিরাণী খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে ১০ লাখ টাকার মতো। অথচ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বিধিমতে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে মহাজোট প্রার্থী (জাপা) আহসান আদেলুর রহমান আদেলের ০১৯৭০-০৩৫৫৫৫ নম্বর মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে তার কোন মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে কোন রকম অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। আগামীতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙঘনের এ ধরনের কোন অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here