সৃষ্টিশীল কর্ম দিয়ে লেখকরা জাতিকে আলো দেখান —প্রফেসর ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য

0
371

খবর৭১ঃশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য বলেছেন, লেখকরা সমাজে অনাচার অবিচার এবং বিগ্রহকে তুলে ধরে জাতিকে আশার আলো দেখান। মেধা ও মননে পরিবর্তনের স্পৃহা জাগিয়ে তুলেন। সামাজিক উত্থান-পতনকে তুলে ধরতে লেখক তাঁর গ্রšে’ অত্যন্ত সহজ-সরল এবং প্রাঞ্জল ভাষায় প্রয়াস পেয়েছেন। শক্তিপদ দত্ত একজন মেধাবী ব্যক্তি হিসেবে জাতির জন্য আরো সৃষ্টিশীল কর্ম দিয়ে উপকৃত করবেন।
পা-ুলিপি প্রকাশন, সিলেট এবং বিশ্ববাঙালি সংসদ-বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক শক্তি পদ দত্ত’র ছোটগল্প ‘দুঃসময়ই প্রকৃত ভালোবাসার কষ্টিপাথর’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত রোববার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের দ্বাদশ বইমেলা মঞ্চে পা-ুলিপি প্রকাশন, সিলেট-এর সভাপতি লেখক-সংগঠক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সলের সভাপতিত্বে এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গল্পকার তাসলিমা খানম বীথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিজ্ঞানবাদ আন্দোলনের রূপকার ও বিজ্ঞান কবি হাসনাইন সাজ্জাদী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট-এর সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের প্রভাষক আঞ্জুমানআরা বেগম এবং অনুভূতি ব্যক্ত করেন গ্রাহকের লেখক শক্তি পদ দত্ত।
বিশ্ববাঙালি সংসদ বাংলাদেশ শাখার সভাপতি কবি মো. লোকমান হোসেন পলার স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুভে”ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, জননী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুজাত এবং লেখকের জীবনী পাঠ করেন কবি কামাল আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন জয়শ্রী ভট্টাচার্য্য এবং গণসংগীত পরিবেশন করেন শ্রীহট্ট ললিতকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ। এছাড়া মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে মরমি গানের আসরের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংগীত পরিবেশন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য এবং শ্রীহট্ট ললিতকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ গ্রাহকের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং লেখকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। শুরুতে অতিথিবৃন্দকে ফুলেল শুভে”ছায় বরণ করে নেন শেখ মুস্তাফিজ তৈমুর এবং ফরহাদ হোসেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিজ্ঞানবাদ আন্দোলনের রূপকার ও বিজ্ঞান কবি হাসনাইন সাজ্জাদী বলেন, বাংলা সাহিত্যে মর্যাদাপূর্ণ দখল করে আছেন সিলেটিরা। এমনকি বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ এবং বৈষ্ণবপদেও সিলেটি পদস্পর্শ মানদে সমুন্নত। সমৃদ্ধ ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সিলেটে সাহিত্যচর্চায় বিজ্ঞানের সামঞ্জস্য অত্যন্ত জরুরী। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বাস্তব সত্যকে কাব্য-সাহিত্যে প্রকাশ করতে পারলে তরুণ প্রজন্ম বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে গড়ে উঠবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট-এর সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সন্তানকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ইচ্ছে করলেই সেটা সম্ভব। যদি পিতা-মাতা সন্তানের হাতে মননশীল বই তুলে দেন, তবে তাঁর চিন্তা সুন্দর হবে। শক্তিপদ দত্ত সেই কাজটিই করেছেন, তিনি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের প্রভাষক আঞ্জুমানআরা বেগম বলেন, লেখকরা সংবেদনশীল হন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজকে আলোকিত করার জন্য অন্যায়-অনাচার অবিচারকে কলমের মাধ্যমে তুলে ধরেন। আলোকিত স্বপ্নের দিকে ধাবিত করে লেখকবৃন্দ একটি মানবিক ও সভ্য জাতি গড়তে আপ্রাণ চেষ্টা চালান। এজন্য তারা শেকড়কেই অবলম্বন করে এগিয়ে যান।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে শক্তি পদ দত্ত বলেন, আমার জীবন বহু উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। আমার জীবনে সংঘটিত অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা গল্পগুলো যদি মানুষের চেতনা-অনুভূতি এবং বিবেকবোধকে জাগ্রত করে তবে আমার লেখা সার্থক হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পা-ুলিপি প্রকাশন, সিলেট-এর সভাপতি বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল বলেন, শক্তিপদ দত্ত একজন সৃষ্টিশীল জাত লেখক। তাঁর ভেতরে যে আলো বিদ্যমান সেটাকে কাজে লাগিয়ে তিনি সাহিত্যের জগতে দ্যোতি ছড়াতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলা সাহিত্যের অগ্রযাত্রায় তিনিও একজন অভিযাত্রী হবেন এটাই প্রত্যাশা।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here