সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ঐক্যে চাঙ্গা আওয়ামীলীগ টানাপোড়নে বিএনপি

0
273

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতক-দোয়ারা নিয়ে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপিতে চলছে টানাপোড়ন আর ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ রয়েছে চাঙ্গা অবস্থানে। বহুমুখী প্রচার-প্রচারনায় বিএনপি প্রার্থীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী। এ আসনে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে শেষ লড়াই হবে মহাজেট ও ঐক্যফ্যন্ট প্রার্থীর মধ্যে এমন ধারনাই পোষন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রধান দু’জোটের কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাংখিরা ভোটের হিসেব-নিকেশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নাওয়া-খাওয়া ও আরাম-আয়াস বর্জন করে শেষ দু’দিনের প্রচারনায়ও মাঠে গুছিয়ে নিচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রতিযোগী প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে আওয়ামীলীগ মনোনীত মহাজোট প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক এমপি নৌকা ও বিএনপি মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী ধানের শীষ। এ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দু’টি পৃথক বলয়ে বিভক্ত ছিল দীর্ঘদিন ধরে। উভয় দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীয়ও ছিলেন একাধিক প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক, পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর অনুজ শামীম আহমদ চৌধুরী ও বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি, ৩ বারের সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। কিন্তু দলের বিজয়ের স্বার্থে ও কেন্দ্রীয় চাপে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আষ্টুষ্ঠানিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচারনায় নামেন উভয়দলে বঞ্চিত প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীরা। কিন্তু আওয়ামীলীগের ঐক্যের সাথে বিএনপির ঐক্য অনেকটাই গড়মিল লক্ষ্য করা গেছে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগকে নির্বাচনী প্রচারনায় দেখা গেলেও বিএনপির নেতৃস্থানীয় অনেককেই মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এদিক থেকে আওয়ামলীগ প্রার্থী থেকে বিএনপি অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৫ আসন দুটি উপজেলা, একটি পৌরসভা ও ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা। এর মধ্যে দু’ উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ১৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ ও ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি সমর্থিত। বর্তমানে নৌকার সমর্থনে ভোটের মাঠে রয়েছেন দোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীর প্রতীক, পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীসহ ১৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান। পক্ষান্তরে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন ৩ ইউপি চেয়ারম্যান এবং সরকারী টিন-টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অপর ১ চেয়ারম্যান রয়েছেন জেল হাজতে। সবদিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী আর চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী। এদিকে আওয়ামীলীগ নেতা, বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ভগ্নিপতি উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিয়েছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। নৌকার সমর্থকরা মনে করছেন, আওয়ামীলীগের সমর্থনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েও অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল ধানের পক্ষে কাজ করায় নৌকার বিজয়ে অনেকটাই বাধা হয়ে দাঁিড়য়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, তিনি সিলেট ১ আসনসহ সুনামগঞ্জের প্রতিটি আসনেই নৌকার বিজয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, ছাতক-দোয়ারায় বিএনপির কোন কোন্দল ছিল না এখনো নেই। জেলা বিএনপির অভিভাবেক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনসহ সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের বিরামহীন প্রচারনায় এ আসনে ধানের শীষের গণজোয়ার সৃিিষ্ট হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত। ঐক্যর ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত শামীম আহমদ চৌধুরী জানান, স্বাধীনতার পরবর্তীসময়ে দেশজোড়ে আওয়ামীলীগের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, একইভাবে বর্তমানে ছাতক-দোয়ায় চলছে নৌকার জয়জয়কার। নৌকার বাধভাঙ্গা জোয়ার ৩০ ডিসেম্বর বিজয়ের গন্তব্যে পৌছবে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here