সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে দুর্বৃত্তদের দ্বারা দরিদ্র পরিবার নির্যাতনের স্বীকার

0
426

মোঃ জহির রায়হান, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আমডাঙ্গা গ্রামে দুর্বৃত্তদের আক্রমণে নিঃস্ব-রিক্ত অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে একটি দরিদ্র পরিবার। আমডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী বিজলী খাতুন সলঙ্গা থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে বলা হয় “আমি মোছাঃ বিজলী খাতুন (৩০), জং- মোঃ আব্দুল মান্নান, সাং- আমডাঙ্গা, ইউপি- হাটিকুমরুল, থানা- সলঙ্গা, জেলা- সিরাজগঞ্জ। থানায় আসিয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, স্বামীর প্রাপ্ত বসত বাড়ী আমার নামে দলিল করিয়া দিলে উক্ত বিষয় লইয়া বিবাদী ১। আব্দুল আজিজ (৬০), পিতা- মৃত আব্দুর রহমান, সাং- চন্ডিপুর, থানা- কামারখন্দ, ২। আমিরুল ইসলাম (৩৫), পিতা- আব্দুস সোবহান, সাং- বনবাড়ীয়া মধ্যপাড়া, ৩। সেলিম (৪৫), পিতা- তারা মিয়া, ৪। ভুট্ট মিয়া (৪৫), পিতা- আব্দুস ছামাদ, ৫। মোছাঃ রিনা খাতুন (৫০), জং- তারা মিয়া, ৬। ইউসুব আলী (৪৭), পিতা- তারা মিয়া, ৭। হাবিব (৩০), পিতা- ইউসুব আলী, ৮। আব্দুর রউফ (৩৫), পিতা- তারা মিয়া, ৯। ইব্রাহীম (২৫) পিতা- ভুট্ট মিয়া, ১০। নুরুল ইসলাম (৪৫), পিতা- তারা মিয়া, ১১। শামছুল হক (৪০), পিতা- মৃত নোমাজ আলী, সর্ব সাং- আমডাঙ্গা, ইউপি- হাটিকুমরুল, থানা- সলঙ্গা, জেলা- সিরাজগঞ্জগনদের সহিত পারিবারিক বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদীগণ আমার যে কোন বদনাম ছড়াইয়া উক্ত বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দিবে। আমার স্বামীকে জোর পূর্বক বিষ পানে হত্যা করিয়া তাহার দায় দায়িত্ব আমার উপর চাপাইয়া দিয়া জেল জুলুম করিবে। আমার ছোট ভাই রুহুল আমীন (২৬) পিতা- আবু বক্কার শেখ, সাং- খামারবধরুল, থানা- কামারখন্দ, জেলা- সিরাজগঞ্জ কে হত্যা করিয়া লাশগুম করিবে ইত্যাদি কথা বলিয়া সর্বক্ষণ ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়া আসিতেছে। বসত বাড়ী পশ্চিম দুয়ারী আধা পাকা টিনের ঘরে স্বামী সহ শুইয়া ঘুমাইয়া পরি। গত ২২/০/২০১৮ ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় ৫নং বিবাদী রিনা খাতুন আমার দরজার নিকট আসিয়া দরজা খুলিতে বলে। ৫নং বিবাদী আমার চাচী পরিচিত কন্ঠ শুনিতে পাইয়া বিশ্বাসে ঘরের দরজা খুলিয়া দিলে সকল বিবাদীগণ পরিকল্পিত ভাবে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র লইয়া আমার ঘরের মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে। ৫নং বিবাদী রিনা খাতুন অতর্কিত ভাবে আমার মাথার চুল ধরিয়া টানা হেচরা করিয়া খাটিয়া হইতে মেঝেতে নামায়। ৭ ও ৮ নং বিবাদীদ্বয় হাবিব ও আব্দুর রউফ এর সহায়তায় ৩ নং বিবাদী সেলিম আমার পড়নের থাকা প্রিন্টের শাড়ী টানা হেচরা করিয়া বিবস্ত্র করে। ১১নং বিবাদী শামছুল হক তাহার হাতে থাকা ভিডিও ক্যামেরা দিয়া আমার উলঙ্গ ছবি তোলে এবং বলে যে, উক্ত ছবি ফেসবুকে ছাড়িয়া দেব। উপরোক্ত আসামীদ্বয় আমাদের বাড়ী হইতে ১। গরু, ২। নগদ টাকা, ৩। মূল্যবান গহনাদি লুটপাট করে।”

এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বলেন “আমরা বিষয়টি অভিযোগ আকারে নিয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রতিবেদক বিবাদীদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করলে তাহারা কথা বলতে নারাজি জানায়।

অসহায় বিজলী ও তার স্বামী সমাজের সকলের নিকট উক্ত অত্যাচার ও নির্যাতনের সুবিচার ও আইনীগত ব্যবস্থা কামনা করে বলে জানিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here