খবর ৭১ঃ অবিলম্বে সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বর্তমান সংসদ অনির্বাচিত। তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপিসহ বিরোধীদলের সমস্ত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে নতজানু করতে চায়। ব্যর্থ রাষ্ট্র করার চক্রান্ত করছে। এজন্য ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার না করে, তদন্ত না করে বিএনপি ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে সরকার জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আছেন। এই সংখ্য প্রতিদিন বাড়ছে।
আজ মঙ্গলবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় মানববন্ধন শুরু হয়ে শেষ হয় ১২টায়।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক ফুটবলার আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান।
এসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচনে সেনাবাহিনীও মোতায়ান করতে হবে।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদ- দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন বিশেষ আদালত। এরপর থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে বিএনপি।
খবর ৭১/ই: