খবর৭১ঃ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তরায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সড়ক অবরোধের ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। সকালে উত্তরার পরিবর্তে গাজীপুরের সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে পুলিশি বাধার মুখে সোয়া ১১টার দিকে তারা আবদুল্লাহপুর ও উত্তরার দিকে চলে আসেন। বর্তমানে সড়কের দু’পাশে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো জসিম উদ্দিন রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে।
শ্রমিকদের এই অবরোধের মধ্যেই দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমানবন্দর গোলচত্বরে এনা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সদরদফতর কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মো. এরশাদ বাসে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আন্দোলনকারী গামেন্টস শ্রমিক নাসিমা আক্তার জানান, সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল (রবিবার) চৈতি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আন্দোন শুরু করলে মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তাদের প্রতিশ্রতির পর আন্দোলন স্থগিত করে শ্রমিকরা কিন্তু আজ কাজে এসে তাদের দাবি বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ না দেখে আবারও আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন খান বলেন, শ্রমিকদের সড়িয়ে দিতে পুলিশের সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই, তবে তাদের কিছু অযৌক্তিক দাবিও আছে।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে শ্রমিকরা বলেন, আব্দুল্লাহপুরে পুলিশের কর্মকর্তারা গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানানো হয়। কিন্তু তারাও সেখানে ব্যর্থ হয়েছেন।
উত্তরা জোনের ডিসি, বিজিএমইএ ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা গতকাল রবিবার দাবি পূরণ করার আশ্বাস দিলেও এ বিষয়ে এখনও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে বলে জানিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল থেকে উত্তরার বিভিন্ন গার্মেন্টের পোশাক শ্রমিকরা সড়কে বিক্ষোভ করছেন।
খবর৭১/এসঃ