শেরপুরে ধর্ষন মামলার আসামী ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0
730
শেরপুরে ধর্ষন মামলার আসামী ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

খবর৭১ঃ

শেরপুর থেকে আবু হানিফঃ শেরপুরের নকলা উপজেলার লাভা গ্রামে একটি ধর্ষন মামলার আসামী ম্যামলকে গ্রেফতার করার পর তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে পুলিশ ৩৫ জন নামউল্লেখ করে আরো ৪৫জন অজ্ঞাতসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

এঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে। ফলে পুলিশিী ভয়ে গ্রামটি এখন পুরুষ শূন্য। শুধু তাই নয়, এখনাকার মহিলারাও পুলিশ উপস্থিত হলে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। গ্রামটিতে চলছে এখন পুলিশী আতঙ্ক। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, একটি প্রেম ঘটিত বিষয়ে শালিস করতে গেলে ওই ঘটনায় একজন শালিসদার হিসেবে শ্যামল ও প্রকৃত ঘটনার মূলনায়ক রিজনসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পার্শ্ববর্তী গৌরদার এলাকার এক যুবতী। এঘটনায় শ্যামলকে ১৯ অক্টোবর বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে পানি ঢেলে সুস্থ করার সময় গ্রামবাসী এসে তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত ৪পুলিশ আহাত হয়। পরে পুলিশ এ ঘটনা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে আসামী ছিনতাইয়ের অভিযোগ করে ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং ৪মহিলাসহ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রামবাসী দাবী করেছেন, তারা এ ঘটনা ঘটননাই। আসামী শ্যামল অজ্ঞান হয়ে গেলে, তার হাতের হাতকড়া খুলে দেয় পুলিশ। গ্রামবাসী তাকে পানি ঢেলে সুস্থ করলে মানুষের জটলায় সে পালিয়ে যায়।

এতে গ্রামবাসীর কোন দোষ নেই। এদিকে এঘটনারপর পুলিশী অভিযান অব্যহত থাকায়, ওই গ্রামে পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। পুরুষ শূন্য হওয়ায় বিভিন্ন বাসাবাড়ী, দোকান ও পুকুড়ে মাছ চুরি হচ্চে বলে গ্রামবাসী দাবী করেছেন। শ্যমালের পরিবার ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আজ বেলা আড়াইটায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শ্যামলের ভাই মো: মোকছেদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার ভাই শ্যামলকে গ্রেফতার করে এবং নির্যাতণ করে। পরে টাকা দেয়ার কথা বললে, পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এর পর মাত্র দেড়বছরের শিশু সন্তানসহ শ্যামলের স্ত্রী সুবর্নাকেও গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। যা অমানবিক। বর্তমানে সুবর্ণা শিশু সন্তানসহ জেলা কারাগারে আটক আছেন। এসময় তারা সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবী করেন।

এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রামবাসীর অভিযোগ সত্যনয়। প্রকৃতপক্ষে দায়িত্বরত ৪পুলিশকে আহত করে আসামী শ্যামলকে ছিনতাই করা হয়েছে। পুলিশি দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। নির্দোষ যারা তাদের আতঙ্ক হওয়ার কোন কারণ নাই। যারা নির্দোষ তাদেরকে কোন পুলিশী হয়রানী করা হবে না। তবে দোষীদেরও ছাড় দেয়া হবে না। আমাদের নকলা থানার ওসি এলাকাবাসীকে এ কথা জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here