শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

0
216

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
মোংলার ৫০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য আসা একটি প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা ফেরৎ যাওয়ার পিছনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ায় তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালাকে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুষ্পজিৎ মন্ডল জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক আদেশে গত ১৭ জুলাই তাকে বদলি করা হয়। পরিমল চন্দ্র বালা গত মার্চ মাসে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে মোংলা উপজেলায় যোগদান করেন। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোংলার একাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা অভিযোগ করে বলেন, পরিমাল চন্দ্র বালা যে কাজ করেছেন তাতে এ শাস্তি যথাযথ (বদলি) হয় না, উচিত ছিল তাকে বরখাস্ত করা। উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, পিইডিপি (প্রাইমারি এ্যাডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) প্রকল্প-৩ এর আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে গত অর্থ বছর ধরে মোংলা উপজেলার ৫০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় উপকরণাদি কেনার জন্য প্রতি বছর ৪০ হাজার টাকা পেয়ে আসছিল। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরেও এ খাতে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু গত ২৭ জুন মোংলা উপজেলা হিসাব শাখা থেকে এ টাকার অনুমোদনসহ ছাড় করণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সোনালী ব্যাংক, মোংলা শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষা কর্মকর্তা তা তুলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্লিপ হিসেবে এ টাকা জমা দিয়ে থাকেন। শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা ৩০ জুনের মধ্যে ওই টাকা না তোলায় বরাদ্দ হওয়া ২০ লাখ টাকা বাতিল হয়ে যায়। এদিকে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক বিধান বৈরাগী বলেন, বরাদ্দের টাকা আগে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা আগে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ কিনতে শিক্ষকদের নির্দেশ দেন। শিক্ষকরা তা কিনে রসিদসহ বরাদ্দের টাকা আনতে গিয়ে জানতে পারেন তাদের সে বরাদ্দের টাকা বাতিল হয়ে গেছে। এতে শিক্ষকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান তারা। আর এ ঘটনার জন্য তারা ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়ী করেন। পরে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি সময় মত টাকা উত্তোলন না করায় টাকা ফেরত/বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা বলেন, আমাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়নি, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীই সব ভাল জানেন। #

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here