শিক্ষার্থীদের সংঘাতে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে চবি শিক্ষককে শোকজ

0
343

খবর৭১ঃ শিক্ষার্থীদের সংঘাতে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামহানি, ছাত্র শৃঙ্খলায় দায়িত্বরত শিক্ষকদের সম্মানহানি এবং ছাত্রদের সংঘাতে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে কেন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা আগামী তিনদিনের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে৷

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) সৈয়দ ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

একইসঙ্গে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ফেসবুকে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়েছেন। তাই তাকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত তার বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করবে।’

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আপনি গত ৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গুণ্ডামি করে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো পাপ’ শীর্ষক একটি পোস্ট করেছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ পোস্টটির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সম্মানহানি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা দমনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গৃহীত ব্যাবস্থাকে ‘গুণ্ডামি’ আখ্যায়িত করে আপনি প্রকারান্তরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুণ্ডামিতে লিপ্ত ছাত্রদের সহিংস্তার পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। যা চবি কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

এর আগে গত ৩১ মার্চ থেকে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ বিজয় ও সিএফসির মধ্যকার টানা তিনদিনের সংঘর্ষের পর গত ৩ এপ্রিল গ্রেফতারকৃত ৬ কর্মীর বিরুদ্ধে একদিন পরই অস্ত্র মামলা দেয় পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে একটি স্ট্যাটাস দেন ওই শিক্ষক। যা তাৎক্ষণিক ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টটিতে তিনি বলেন- ‘গুণ্ডামি করে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো পাপ। শিক্ষকতাকে যদি পেশা হিসেবে নিয়ে থাকেন তাহলে ছাত্রছাত্রীদের সাথে যুক্তি-তর্ক-বিচার-বিশ্লেষণ তথা শিক্ষিত জনের মতো জ্ঞানের ভাষায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। যদি তা না পারেন, যেটুকু পারেন সেটুকু দায়িত্ব রেখে বাকিটুকু ছেড়ে দেন। কথায় কথায় নিজের ছাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশ লাগিয়ে দেবেন, অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন- এসব কোনও শিক্ষকের কাজ হতে পারে না। দোহাই আপনাদের, শিক্ষকের কলুষিত মর্যাদাকে আরও কালিমালিপ্ত কইরেন না।’

প্রসঙ্গত, গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে ১৭ জুলাই খ. আলী আর রাজীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের একাংশ। উপাচার্য বরাবর তার চাকরিচ্যুতির দাবিতে স্মারকলিপিও দিয়েছিল সংগঠনটি।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here