মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: শায়েস্তাগঞ্জে দিনে রাতে রেল থেকে তেল পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এসব তেল শায়েস্তাগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে অনেকেই জিরো থেকে হিরো বনে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানান, জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির অসাধু পুলিশ সদস্য ও রেলওয়ের কর্মচারিদের ম্যানেজ করে সন্ধ্যার পর থেকেই শায়েস্তাগঞ্জ জংশনের অদূরে জয়ন্তিকা, উপবন, উদয়ন, সুরমা, জালালাবাদ ও তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে তেল খোলে প্রায়ই চোরাকারবারীরা ৫শ’ থেকে হাজার লিটার তেল প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি করে রিক্সাযোগে তাদের গন্তব্যস্থলে পাচার করে দিচ্ছে। আর এসব তেল বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৫০ থেকে শুরু করে ৬০ টাকা লিটারে বিক্রি করছে। এতে করে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তারা আরো জানান, তেল পাচারকারীদের গডফাদাররা তাদের সহযোগীদেরকে দিয়ে সন্ধ্যা হলেই রিক্সা ও ঠেলাগাড়ি নিয়ে প্লাটফর্মের অদূরে অবস্থান নেয়। ট্রেন এলেই অসাধু ট্রেন চালক ও জিআরপি পুলিশের সহযোগিতায় ইঞ্জিন থেকে তেল খোলে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে পাচার করে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তেলসহ বেশ কয়েকজন চোরাকারবারীকে আটক করে। কিন্তু তারা আইনের ফাঁক দিয়ে জামিনে এসে ফের এসব ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয় অনেকেই তেল বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাজারের মূল্য থেকে অর্ধেক দামে বিক্রি করছে। সম্প্রতি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় লস্করপুর রেল ক্রসিং এলাকায় পদ্মা লরি থেকে তেল নামানোর সময় গাড়িসহ তিন জনকে আটক করেন। সচেতন মহল মনে করেন এরকম করে চলতে থাকলে অনেক চোরাকারবারিরা শূন্য থেকে কোটিপতি হয়ে যাবে। আর সরকার প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাবে।
খবর ৭১/ই: