খবর ৭১: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি আগামী রবিবার পর্যন্ত মুলতবি রেখেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি করতে সময় আবেদন করলে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির। অন্যদিকে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ড. শাহদীন মালিক, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।
মামলায় সারা হোসেন শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি শেষ করলেও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করবেন বলে আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ এ মামলায় শহিদুল আলমের জামিন নাকচ করেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর আবেদনটি আদালতে দাখিল করা হলে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আবেদনটি তালিকায় আসবে বলে জানায় আদালত। এ অবস্থায় আবেদন কার্যতালিকায় না আসার বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শহিদুলের আইনজীবী। জবাবে আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রাখার বিষয়টি শহিদুল আলমের আইনজীবীদের নিশ্চিত করেন। এর প্রেক্ষিতে শহিদুলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গত ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (পরিদর্শক) আরমান আলী। শহিদুলের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে রাখার আদেশ দেন।