শরপুরের শ্রীবরদীর উলুকান্দায় বাল্য বিয়ে থেকে পালিয়ে বাঁচলো ৭ম শ্রেণীর এক মেয়ে

0
253

শেরপুর থেকে আবু হানিফ :
শেরপুরের শ্রীবরদীর উলুকান্দায় বাল্য বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসে কোন রকম রক্ষা পেয়েছে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নাবালিকা (শুভা খাতুন)। কিন্তু পালিয়ে এসেও চরম নিরাপত্তার মধ্যে আছে সেই মেয়েটি।
দরিদ্র আমির হোসেনের স্কুল পড়–য়া কন্যার প্রতি দৃষ্টি পড়ে একই গ্রামের মুড়ল নইছা মিয়া। তার নাতি শ্রীবরদীর ঢনঢনিয়া গ্রামের বেলাল মিয়ার ছেলে ট্রাকের হেল্পার সাগর মিয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং মেয়েটির চাচীর সহায়তায় শুক্রবার নাকফুল পড়িয়ে যায়। একই সাথে গতরাতে কাজী নিয়ে বরপাত্রসহ বিয়ে করাতে আসে আমির হোসেনের বাড়ীতে। জোরপূর্বক বসায় বিয়ের পীড়িতে। এ অবস্থায় মেয়েটি তার বাবার সাথে পালিয়ে আসে শেরপুর জেলা শহরে। দারস্থ হয় স্থানীয় সাংবাদিকদের।
পালিয়ে আসার পর থেকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছে। গ্রামের মোড়ল নইছে মিয়ারা ২০ হাজার টাকা দাবী করছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে তারা। এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবী করেছে তার সহপাঠীরা। শিক্ষকরাও তার পাশ্ব থাকার আশ্বাস দিয়ে এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।
বিয়ের পিড়ি থেকে পালিয়ে আসার পর মেয়েটির বাড়ীতে একাধিকবার হামলার ঘটনাও ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। মেয়েটি এ প্রতিনিধির কাছে জানায় সে লেকা পড়া করবে। সে মানুষ হবে। এ বাল্য বিয়ে করবে না সে। তারা বাবা আমির হোসেন বলেন, আমি আমার মেয়েকে লেখা পড়া করিয়ে ভাল ছেলের কাছে বিয়ে দিতে চাই। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর আবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে তিনি খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
তবে স্থানীয় সমাজসেবীরা মেয়েটির এমন সাহসি ভুমিকার জন্য প্রশংসা করেছেন। দরিদ্র ঘরের এ মেয়েটির লেখা পড়ায় এগিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here