লালমনিরহাটে রেলের জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মান

0
243

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাটঃলালমনিরহাটে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা শহরের চাঁদনী বাজারে রেলওয়ের ৮৪ শতক জায়গায় সিরাজুল ও বেলাল গং এ মার্কেট নির্মান করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সিরাজুল ও বেলাল পৌরসভার নর্থবেঙ্গল এলাকার মৃত ফয়ের উল্লার ছেলে ।
অভিযোগে জানা যায়, লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের (রেল স্টেশনের পশ্চিমে) চাঁদনী বাজার এলাকায় সিরাজুল ও বেলাল গং কৃষি আবাদ করার জন্য ৮৪ শতক জমি লিজ নেয়। রেলওয়ে নিয়মে কৃষি জমিতে কোন স্থাপনা ও মার্কেট নির্মান সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। কিন্তু সিরাজুল গং রেলের ওই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজ বাহু বলে পরবর্তীতে সেখানে ১২টি দোকানের বিশাল এক মার্কেট নির্মান করে। এমনকি ক্ষমতার বলে সিরাজুল লালমনিরহাট-মহেন্দ্রনগর রোডের একটি বন্ধ করে তার উপরেও ২টি দোকান তৈরী করেন। যার ফলে এই বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় বর্তমানে সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের এই কালভাটে ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে পরবর্তীতে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহনসহ লোক চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুকির মধ্যে পড়বে বলে এলাকাবাশী মনে করছেন।
এলাকাবাসীগণ বলেন, রেলওয়ের এই জায়গার পাশ্ব দিয়ে আমরা এলাকার লোক দীর্ঘদিন থেকে চলাচল করে আসছি। হঠাৎ করে নর্থবেঙ্গল এলাকার সিরাজুল গং জায়গাটি কৃষি আবাদ করার জন্য নিয়ে মার্কেট নির্মান করে যান ও লোকজন চলাচলের কার্লভাটটি বন্ধ করে দেন। ফলে বর্তমান এই অল্প বৃষ্টির সময়েই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মুল বর্ষা মৌসুম এলে এই রাস্তার কি হবে ভাবাই না। তাই আমরা এলাকাবাসী রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) লালমনিরহাট ও রেলওয়ে এস্টেট অফিসার (রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগ) এবং মুল রাস্তার কার্লভাটের উপরে অবৈধভাবে দোকান ঘর উচ্ছেদের জন্য লালমনিরহাট পৌর মেয়রের নিকট অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকেলে রেলওয়ে এস্টে অফিসার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে রেলওয়ের জায়গা থেকে তাদেরকে দোকান ঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য বলে।
রেলওয়ে এস্টে অফিসার (সিনিয়র সহকারী সটিব) মোঃ সুজাউদ্দোলা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে রেলওয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। রেল থেকে কৃষি জমির জন্য লিজ নেয়া জমিতে মার্কেট বা দোকান ঘর নির্মান করা সম্পুর্ন অবৈধ। তারপরেও কেউ যদি কৃষি জমিতে মার্কেট বা দোকান ঘর নির্মান করে তাহলে রেল কর্তৃপক্ষ তা উচ্ছেদ করবে। আর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য যাবতীয় খরচ ওই ব্যাক্তিকে বহন করতে হবে নতুবা তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে সিরাজুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here