লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি, ত্রাণ বিতরন শুরু

0
233

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট; উজানের ঢলে তিস্তা, সানিয়াজান ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতর উন্নতি ঘটেছে। পানিবন্দি ও নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোর মাঝে সরকারী ভাবে ত্রান বিতরন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুলাই) বিকেল ৩ টার দিকে আদিতমারী উপজেলার তিস্তার চরা লের মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রানের চাল ও টাকা বিতরন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নদী ভাঙ্গনের শিকার মহিষখোচা ইউনিয়নের একশত পরিবারের মাঝে ৫শত টাকা ও ১০ কেজি জিআর চাল এবং পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে ১০ কেজি হারে জিআর চাল বিতরন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মফিজুল ইসলাম, মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী, প্যানেল চেয়ারম্যান মজমুল হক, ইউপি সচিব আজাহারুল ইসলাম আতিক প্রমুখ। এ দিকে তিস্তার পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে।
শুক্রবার (৬ জুলাই) হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজের দোহানী পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২. ৬০সেঃমিঃ) বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) বিকেল থেকে বিপদ সীমা অতিত্রম করে রাত ৮ টায় বিপদসীমার ১১ সেঃন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তার অববাহিকায় বন্যা দেখা দেয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে জেলার প্রায় ৬ হাজার পরিবার। জেলা ত্রাণ শাখার দায়িত্বে সহকারী কমিশনার সুইচিং মং মারমা জানান, নদ নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ঠ বন্যায় পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য ৩৫ মেঃ টন জিআর চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এসব চাল কোন কোন ইউনিয়নের বিতরন শুরু হয়েছে। বাকীসব এলাকায় শনিবার বিতরন করা হবে। সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হাতীবান্ধা উপজেলার জন্য ১৫ মেঃ টন, আদিতমারী ১০ মেঃ টন ও সদর উপজেলায় ১০ মেঃ টন জিআর চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
তিস্তা ব্যারাজের পানি উন্নয়ন বোর্ডেও ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, শুক্রবার পানি প্রবাহ বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। বাড়ি ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, ঘর বাড়ি থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য জিআর চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বন্যার পানি সম্পুর্নরুপে নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝুঁকিপুর্ন বাঁধগুলো মেরামত করা হবে। বাঁধ রক্ষায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here