লালমনিরহাটের টংভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিক একঘরোয়া

0
288

আসাদুল ইসলাম সবুজ লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান আতিককে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এক ঘরোয়া করা হয়েছে। স্থানীয় কতিপয় সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতা ও রাজাকারের ছেলে এঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ওই ইউনিয়নের প্রায় ৬৫ হাজার জনগনের মধ্যে কয়েক হাজার হতদরিদ্র পরিবার সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বি ত হচ্ছে বলে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান রোববার ওই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে এ প্রতিবেদককে ওই সব তথ্য জানান।
জানা গেছে, জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, একাধিক পদক প্রাপ্ত ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোঃ আতিয়ার রহমান জানায় গত ৩১ মার্চ ২০১৬ ইং তারিখ বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গত ১৬/০৮/২০১৮ ইং তারিখ দায়িত্ব গ্রহন করেন। দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলার চেয়ারম্যান এর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বসবর্তী হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা, হামলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল প্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধাতে ভাগ বসান। না দিলে স্থগিত অথবা বরাদ্দ বাতিল করণসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে উক্ত ইউনিয়নের কয়েক হাজার হতদরিদ্র পরিবারের বরাদ্দের সরকারি সাহায্য সব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তার পছন্দমত নেতাকর্মীদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করে দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক নানা হয়রানী মুলক কর্মকান্ডের বিষয় বর্ণনা তুলে ধরেন স্বাক্ষাতকারে। দীর্ঘ ২৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন আচরন ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টংভাঙ্গা ইউনিয়নের হতদরিদ্র কয়েক হাজার পরিবারের সরকারি সাহায্যের ত্রান ও অর্থ অত্যান্ত সুকৌশলে লুটপাট করেছে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ক্ষতিগ্রস্থের যাবতীয় বর্ণনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় আ,লীগের কয়েকজন নেতা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে মর্মে তিনি যাবতীয় কাগজপত্র এ প্রতিবেদকের কাছে সরবরাহ করেছেন। এছাড়া ১০ টাকা কেজি দরে রেশন কার্ড বিতরনে ইউনিয়ন পরিষদকে অবজ্ঞা করে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে তালিকা তৈরী পূর্বক চাল বিতরণ করায় উক্ত চেয়ারম্যান আদালতে মামলা করেন। যার অন্য ৩২/১৬। অপর আর একটি মামলা নং ৭৮/১৬ যা বর্তমান চলমান রয়েছে। সবমিলে ০৪নং টংভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে এমনটা জিম্মি দশা করে রেখেছে যে তিনি কোন সরকারি-বেসরকারি সভা সমাবেশে অংশগ্রহনের কোন সুযোগ সুবিধা পাননা।
এ বিষয়ে আতিয়ার রহমান আতিক বলেন, অত্যন্ত সুকৌশলে আমাকে এক ঘরোয়া করে রেখেছে যাতে জনগনের সেবা প্রদান করতে না পারি। তাই এমন একঘেয়ামী করায় এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা-০২ আসনে স্থানীয় সংসদের ভোটে অনেকটাই ভাটা পরবে বলে এলাকাবাসী জানান।
এব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা তার পরিষদের বিষয় আমার বিষয় নয়। তবে তার পরিষদের মেম্বারদের মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here