‘রোহিঙ্গারা বাঙালি, নির্ধারিত ‘বন্দিশালা’তেই থাকতে হবে’

0
246

খবর ৭১:বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা নির্ধারিত অঞ্চলে থাকলে নিরাপদে থাকবেন বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং।

তিনি শনিবার তার ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যত দিন তাদের জন্য তৈরি মডেল গ্রামে থাকবে, তত দিন তারা নিরাপদ থাকবে।

রোহিঙ্গারা যে তাদের জন্য নির্ধারিত অঞ্চলের বাইরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না তা সেনাপ্রধানের বক্তব্যে আবারও স্পষ্ট হয়েছে।

এদিকে রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমার যে মডেল গ্রাম তৈরি করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তারা বলছেন, যেভাবে সংকীর্ণ এলাকায় এ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে তা একধরনের কারাগার। এখানে থাকা মানে প্রকারান্তে বন্দিশালাতেই থাকা।

গত ৩০ এপ্রিল মিয়ানমারের রাজধানী নাইপদোতে দেশটিতে সফররত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং তাদেরকেও এসব কথা বলেছেন।

তিনি সফররত জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়া এলাকার মধ্যে থাকলে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

মিন অং হলাইং রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার না করে তাদেরকে ‘বাঙালি’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি রোহিঙ্গাদের সমালোচনা করে বলেন, বাঙালিরা কখনোই বলবে না যে সেখানে খুশিমনে গেছে। তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে বা তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে—এমন কথা বলে তারা সহানুভূতি আদায় করবে।

মিয়ানমারের রাখাইনে মুসলমানদের ওপর যে নির্মম হত্যা-নির্যাতন হয়েছে তার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ কারণে সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং এর বিচারের দাবি উঠেছে।

কয়েক দশক ধরেই মিয়ানমারে সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করছে রোহিঙ্গারা। তবে কখনোই তাদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার করেনি মিয়ানমার সরকার।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রথম থেকেই বলে আসছে, রাখাইনে মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার গত বছর রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে রাজি হয়। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার মতো মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। সূত্র: পার্সটুডে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here