খবর৭১ঃ রূপালী ব্যাংকের প্রস্তাবকে ন্যক্কারজনক বলে অভিহিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ব্যাংকিং খাতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের সব নীতিমালা অগ্রাহ্য করে একটি খেলাপি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল রূপালী ব্যাংক।
রোববার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে বলেন, রূপালী ব্যাংকের এ প্রস্তাব নাকচ করে দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি রূপালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া এবং ব্যাংকিং খাতের ভয়াবহ দুর্গতি কাটিয়ে উঠতে দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি করেছে টিআইবি।
টিআইবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মাদার টেক্সটাইলের ঋণ পুনঃতফসিলের প্রস্তাব সংক্রান্ত যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যায় দুইযুগ ধরে সাতবার পুনঃতফসিলের সুবিধা পেয়েও ঋণ পরিশোধের কোনো আগ্রহ দেখায়নি কোম্পানিটি। এতকিছুর পরও রূপালী ব্যাংক পর্ষদ ৪শ’ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে আসল টাকা আদায়ে দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ দেয়ার সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে।
বিবৃতি আরও বলা হয়, ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য ন্যূনতম অর্থ (মোট ঋণের ৫ ভাগ) এককালীন পরিশোধের যে ব্যাংকিং নিয়ম রয়েছে তাও অগ্রাহ্য করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ যেভাবে বিদ্যমান সব নীতিমালা অগ্রাহ্য করে এই প্রস্তাব দিয়েছে তাতে প্রমাণ হয় যে, তারা কার্যত কায়েমি স্বার্থের কাছে জিম্মি এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তারা ন্যূনতম পেশাদারিত্ব দেখানোর সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলন, রূপালী ব্যাংকের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ার মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখা সমীচীন হবে না। বরং এমন বিধিবহির্ভূত প্রস্তাব করার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখতে হবে এবং পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো যোগসাজশের ঘটনা ঘটে থাকলে বা পরিচালনা পরিষদের উক্ত সুপারিশের পেছনে স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকলে তা চিহ্নিত করে কঠোর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ড. জামান আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত সংস্কারে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আর কোনো বিকল্প নেই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই যে, সরকার পরিস্থিতির গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবন করে কাঙ্খিত সংস্কারের জন্য খাতসংশ্লিষ্ট নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অতি দ্রুত একটি কমিশন গঠন করবে।