রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কেনাকাটার অনুসন্ধান করবে দুদক

0
444

খবর৭১ঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়টিতে নজর রাখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

মঙ্গলবার বিকালে দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান দুদক চেয়ারম্যান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘উই আর ওয়েটিং ফর দ্য রিপোর্ট। যেহেতু মিনিস্ট্রি কাজ করছে, আমরা তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে, আমরা রিপোর্ট চাইব, আমরা রিপোর্ট দেখব, তারপরে যদি দেখি ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে সেখানে ডেফিনিটলি আমরা সেখানে আইনি পদক্ষেপ নেব।’

এর আগে দুদকের একাধিক সূত্র জানিয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামছে তারা। তবে দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যে পাওয়া গেল কিছুটা ভিন্ন সুর। অপেক্ষা করতে চান তারা।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দুদকের নজরে এসেছে। দুদক তার নিজস্ব পদ্ধতিতে এগোবে।

তিনি বলেন, ‘কথা হলো দুর্নীতি হয়েছে বা হয়নি। গণমাধ্যমের যে তথ্য সেখানে আমি দেখেছি, বালিশ, কেতলি-এসব বিষয়। দেখেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু প্রসিডিউর আছে। একটা রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তো জাম্প দিতে পারি না। সেটা দেখতে হয়, বুঝতে হয়, চারদিক দেখতে হয়।’

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের দুটি কমিটি এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। এসব দেখে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়ার কথাও জানান তিনি।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘সব দেখে আমি একটা অর্ডার করেছি। সেই অর্ডারটি হলো- সেই তদন্তে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। সবাই যদি একই জিনিস নিয়ে কাজ করতে থাকি, তাহলে জিনিসটা ভালো দেখায় না। তারা কী রিপোর্ট দেয়, সেই রিপোর্ট দেখে তখন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কনক্লুশন কী হয়, কারণ এটা সত্য নাও হতে পারে। সব রিপোর্ট যে সত্য তাও তো না।’

অতীতে অন্যান্য বিভাগ বা সংস্থার পাশাপাশি দুদককেও অনুসন্ধানে নামতে দেখা গেছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে ভিন্ন কৌশল কেন জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘শোনেন, আমাদের কতগুলো প্রজেক্ট আছে, যেগুলো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে হঠাৎ করে আপনি জাম্প করবেন, সেখানে চিন্তা-ভাবনা করতে হয়। এটা জাতীয় বিষয়, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বহুদিন ধরে চলছে। কিন্তু এটার বাস্তবায়নের কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও গুরুত্বপূর্ণ। সো জাস্ট ওয়েট। টেলিভিশনের দেখলাম একজন মন্ত্রী বলছেন যে, বেতন-ভাতা এগুলো সঠিক নয়। বালিশের ক্ষেত্রে এ রকম একটা পরিস্থিতি তো হতেও পারে।’

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আবাসন পল্লিতে আসবাবপত্র কেনাসহ অন্য আনুষঙ্গিক কাজে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিল পরিশোধ না করতে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here