খবর ৭১ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি যাওয়া রিজার্ভের টাকা ফেরত আনা হবে।
রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মামলা দায়েরে বিলম্ব প্রসঙ্গে আজমালুল হোসেন বলেন, ‘মামলার পেছনে তারা বেশি সময় ব্যয় করেছেন। বিভিন্ন তদন্ত ও রিপোর্ট কালেকশনে সময় ব্যয় হয়েছে। মূল অপরাধী ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক-আরসিবিসি যাতে কিছু জানতে না পারে সেজন্য দেরি হয়েছে।’
কিউসি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ৭ প্রতিষ্ঠান, ১৫ ব্যক্তি ও অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এসময় মামলায় কত টাকা খরচ হবে সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেননি তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান ব্রেকিংনিউজকে মুঠোফোনে জানান, এই মামলায় এ পর্যন্ত তিন কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার অবগত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউ’র পরামর্শক দেব প্রসাদ দেবনাথ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ৪ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ চুরির ৩ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা হয়। যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত ছিল। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বাংলাদেশ অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি হওয়া ১০০ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের জুয়া বাজারে পাওয়া গেছে। এ অর্থ পাচার ফিলিপাইনের ইতিহাসে সর্ববৃহ অর্থ পাচারের ঘটনা। এর মধ্যে মাত্র ১৫ মিলিয়ন ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ।
এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে বাংলাদেশের ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিয়ুর রহমান ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ সেচ্চায় পদত্যাগ করেন। কিন্তু তিন বছর পেরিযে গেলেও চুরি যাওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে এখনও দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি।