রাস্তা পারাপারের পথচারীকেও সচেতন হতে হবে’

0
278

খবর৭১ঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাস্তা পারাপারে বেপরোয়া গাড়ি চালানো যেমন বন্ধ করতে হবে, তেমনি সড়ক পারাপারের ক্ষেত্রে পথচারীকেও সচেতন হতে হবে।

রবিবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে আন্ডারপাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সহপাঠীদের প্রতি সমবেদনা জানান। পাশাপাশি নিরাপদ সড়কের দাবিতে যৌক্তিক আন্দোলনের জন্য শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।

সেতুমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যেকোনোভাবেই হোক, আমাদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। কিন্তু পাশাপাশি নিয়ম ভেঙে যাতে কেউ সড়ক পারাপার না হয়, সেই ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। তোমরা কেউ মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হবে না।’

মন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘পাশে ফুটওভারব্রিজ আছে, অথচ কেউ তা দিয়ে সড়ক পার হয় না। কষ্ট করে নিচ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। এখানে ৩৪টি ফুটওভারব্রিজ আছে, এর চারটিও ব্যবহার হয় না। দুর্ঘটনা ঘটলে দাবি ওঠে, আমরা তা বাস্তবায়ন করি। কিন্তু আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, তোমরা সড়ক পারাপারের সময় সতর্ক থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘তোমরা এমন একজন অভিভাবক পেয়েছ, যার কথায় তোমরা আন্দোলন থেকে ঘরে ফিরে গেছ। তোমাদের নয়টি দাবি সরকার পূরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে। আমরা অক্ষরে অক্ষরে সেই নির্দেশ পালন করছি।’

ওবায়দুল কাদের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘অন্ধকার দিয়ে কখনো অন্ধকার দূর করা যায় না, আলো দিয়ে অন্ধকার দূর করতে হয়। হিংসা দিয়ে কখনো হিংসা দূর করা যায় না, ভালোবাসা দিয়ে হিংসাকে জয় করতে হয়।’

এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আন্ডারপাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সরকারের ও সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রতি পরিবারকে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান করেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পাঁচটি বাসও হস্তান্তর করেন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here