রাতে নৌমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, সকালে পরিবহন ধর্মঘট

0
259

খবর৭১ঃ এবার পরিবহন ধর্মঘট ও কর্মবিরতি ডেকেছে বাস শ্রমিক মালিকদের একাধিক সংগঠন। শুক্রবার (৩ আগস্ট) থেকে সকাল থেকে রাজধানীতে কোনো বাস চলতে দেখা যায়নি। এমনকি কল্যাণপুর, গাবতলি, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাতে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের সংগঠন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও সড়ক পরিবহন মলিক সমিতিসহ একাধিক সংগঠন এই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বলে জানা যায়।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘বাস ভাংচুর ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার সার্থে ঢাকা শহরসহ সারাদেশে বাস খুব কম চলছে। তবে বাস না চালানোর জন্য ড্রাইভারদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি রুস্তম আলী খান বলেন, ‘সড়কে বাস চলাচলে সরকার কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। বিভিন্ন স্থানে বাস ভাংচুর চলছে। এ অবস্থায় তারা কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন।’

এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা সিটি ও আন্তঃজেলা সব অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আজ ছুটির দিনে হলেও রাজধানীর ঢাকা শহরের জরুরি কাজে যারা বের হয়েছেন তারা কোনো বাস পাচ্ছেন না। এমনকি সিএনজিও ঠিকভাবে চলছে না।

কল্যাণপুর বাস্ট্যান্ডে যেয়ে দেখা যায়, গতকাল যারা টিকিট বুক দিয়েছিলেন আজ সকালে এসে তারা বাসের জন্য অপেক্ষা করলেও দূর পাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

গত দুইদিন থেকে পরিবহন মালিকরা অনানুষ্ঠানিকভাবে এক ধরনের পরিবহন ধর্মঘট পালন করছিলেন। প্রথম দিন ঢাকা সিটি এবং দ্বিতীয় দিন তার সঙ্গে আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এতে মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলোর আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা ছিলো না।

শুক্রবার থেকে তারা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ও কর্মবিরতির ডেকেছেন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here