রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে রবি শস্যের (আলু) খেতে পানি সেচ না দিতে পারায় কয়েক বিঘার আলুর চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। উপজেলার একডালা ইউনিয়নের ডাকাহার পাড়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে মামলার কারনে মটর দিয়ে পানি সেচ দিতে পারছেন না জমির মালিক। এতে করে পানির অভাবে প্রায় ১৮-২০বিঘা জমির আলু খেত ও ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় আলু খেতের মালিক বিপাকে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একডালা ইউনিয়নের ডাকাহার পাড়া গ্রামের শ্রী নিরেন্দ্রনাথ সরকার (মাষ্টার) দীর্ঘদিন যাবত তার নিজস্ব জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। বছর দুয়েক আগে মাষ্টার কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তার নিজের জমিতে বরেন্দ্রে কতৃক বৈদ্যুতিক মটর স্থাপন করে। কিন্তু একই গ্রামের শ্রী সুবল চন্দ্র আমার প্রকল্পের মধ্যে বৈদ্যুতিক মটর স্থাপন করে বলে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার ফলাফল মাষ্টারের পক্ষে যাওয়া। কিন্তু সম্প্রতি সুবল চন্দ্র পুনরায় সেই মামলাকে মিথ্যে অজুহাত দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে গোপনে জমির ও মটরের উপর ১৪৪ ধারা জারি করান। এদিকে মাষ্টার তার নিজের ১৮-২০ বিঘা জমি গুলোতে পূর্বের মতো চলতি মৌসুমে রবি শস্যের আবাদ করেন। এই রবি শস্যের জমিতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য ড্রেন (নালা) নির্মাণ করতে গেলে সুবল চন্দ্রসহ কতিপয় ব্যক্তিরা বাধা দিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। এতে করে ওই জমি গুলোতে চাষ করা রবি শস্য ও ধানের বীজতলা বর্তমানে পানি সেচের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। অপরদিকে আদালতের নির্দেশ অনুসারে রাণীনগর থানা পুলিশ ওই জমি ও পানি সেচের ড্রেনের (নালা) উপরে ১৪৪ ধারা জারী করেছেন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন জমির মালিক নিরেন্দ্রনাথ সরকার।
আলু খেতের মালিক শ্রী নিরেন্দ্রনাথ সরকার (মাষ্টার) বলেন, কবে কখন এই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে আমি তা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি। আমি পূর্বের মতো আমার মটরের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে আবাদ করে আসছি। কিন্তু সুবলের চক্রান্তের কারনে আজ আমার কয়েক একর জমির রবি শস্য পানি সেচের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। নিজের মটর থাকা সত্ত্বেও জমিতে পানি সেচ দিতে পারছি না পানির ড্রেনের করতে না পেড়ে। জমিতে পানি সেচ দিতে না পারলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। আমি এখন কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।
এব্যাপারে মামলাকারী শ্রী সুবল চন্দ্রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার প্রকল্পের মধ্যে বৈদ্যুতিক মটর স্থাপন করায় আমি এবিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: রেজাউল ইসলাম জানান, নিরেন্দ্রনাথ মাষ্টারে নিজের জমিতে নিজস্ব মটর আছে। তবুও তিনি নিজের জমিতে নালা করে আবাদে পানি সেচ দিতে পারছেন না। বিষয়টি অনেক জটিল আকার ধারন করেছে যা আমার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। এই রবি শস্যে পানি সেচ দিতে না পারলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছি।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশ অনুসারে আমি পুলিশ পাঠিয়ে সেখানে ১৪৪ ধারা জারী করেছি।
খবর৭১/এস: