খবর৭১ঃ কারাবন্দি ও অসুস্থ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০-৪৫ মিনিটে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল-স্কাউট মার্কেট ঘুরে ফকিরাপুল অভিমুখে কিছুদূর গিয়ে নয়াপল্টন মসজিদ ঘুরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী আহমেদ বলেন, দেশে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি আর চলতে দেয়া যায় না। স্বৈরশাসনের কষাঘাতে জনগণের মনে বিষাদঘন অবস্থা বিরাজমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে দস্যুবৃত্তির পন্থায়। তাঁকে চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থতাকে গুরুতর করার যাবতীয় ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সরকার। বেগম জিয়া যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই প্রহর গুণছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘৭৫ এর হুবহু বাকশাল পুণঃপ্রর্বতনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এক ভয়াবহ অশনী সংকেত। দেশে আরও বিপজ্জনক দুঃসময়ের অশুভ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যাই আওয়ামী লীগের আদর্শ। ক্ষমতায় এসে এরা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে জনগণকে বারবার ক্রীতদাস বানিয়েছে। বাকশাল সেই ক্রীতদাস বানানোরই ব্যবস্থা। গণতন্ত্র যাতে পুনরুজ্জীবিত হতে না পারে সেজন্য এদেশের জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে বিনা দোষে, বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরালে রাখা হয়েছে।’
‘বাংলাদেশের কারাগারগুলো এখন শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কয়েদখানাতে পরিণত হয়েছে, যেখানে তিনি তাঁর খেয়াল-খুশি মতো বিরোধী রাজনীতিবিদদেরকে বন্দি রাখতে পারেন। এই নব্য বাকশাল এর বিরদ্ধে এখন সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নইলে দেশে ঘন অন্ধকার অমানিষা ঘনিয়ে আসবে। এজন্যই সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুণঃরুদ্ধারের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হবে।’
মিছিলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর সরকার, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
