যে কারণে আ.লীগ থেকে নির্বাচনে মাশরাফি

0
254

খবর ৭১ঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে লড়বেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেছেন তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘আমি আপনাদের স্বপ্ন দেখাতে আসিনি। আর গতানুগতিক যদি হয়ে থাকে, আমি গতানুগতিক কথা বলতে চাই না। আর এমন কথা বলতে চাই না, যেটা আপনি কাল সকালে মিলাতে পারবেন না। সেই সুযোগটা যদি কখনো আসে, আপনার এখনই চিন্তা করার সুযোগ নেই আমি নির্বাচিত হয়ে গেছি। যদি নির্বাচিত হওয়ার পর সুযোগ টা আসে তখন আমার কাজগুলো যদি ভালো মনে হয় তখন করবেন (রিপোর্ট), মনে চাইলে তখন প্রশ্ন করবেন।’

‘আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই লাস্টের দিকে’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরপরে হয়তো বা ধরেন আমি না শচিন টেন্ডুলকার বা আমি ম্যাগ্রাথ, যে মানুষ আমার কথা স্মরণ রাখবে। আমি আমার মতো করেই ক্রিকেটটা খেলেছি, আমার মতো করেই আমার স্ট্রাগলিং লাইফে যতটুকু পেরেছি, খেলেছি। তবে আমি সবসময় এনজয় করেছি মানুষের জন্য কাজ করতে পারা।’

বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে কিন্তু আওয়ামী লীগের হয়ে কেন নির্বাচনে লড়বেন এমন প্রশ্নের উত্তরে এই দলনেতা বলেন, ‘আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে, আপনার নিজস্ব পারসোনালিটি থাকা উচিত। আপনি যদি কোনো দলকে সাপোর্ট করেন অবশ্যই প্রকাশ্যে সেটা বলা উচিত। আপনি বলবেন না, এ রকম অনেকেই আছে, সাপোর্ট করে কিন্তু বলে না। সো, আমার কাছে মনে হয় যে, প্রত্যেকে যে যার দল করে, ঠিক সেই সম্মানটা তার প্রতি থাকা উচিত এবং তার মতো করে সে দেশের জন্য কাজ করবে এই মানসিকতায় থাকা উচিত।’

মাশরাফি আরও বলেন, ‘এটা আমার একটা ছোট বেলার শখ ছিল বলতে পারেন। ছোট বেলার চাওয়া ছিল। এই সুযোগটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন। এই কারণেই বৃহৎ পরিসরে যদি কিছু করা যায়, সেই সুযোগটাই আরকি।’

নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে এই অধিনায়ক বলেন, ‘যারা যে কমেন্টগুলা করছে ওইগুলাতো আমার নিয়ন্ত্রণে নাই বা আমি তাদের কিছু বলতে পারব না। তবে অবশ্যই আমার রেসপেক্ট ওনাদের ওপর আছে।’

চার দিন পর থেকেই শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। কিন্তু মাশরাফি এখানে ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথাই বলেননি। শুধু রাজনীতি নিয়ে কেন কথা বলছেন এমন প্রশ্ন করলে মাশরাফি বলেন, ‘এইজন্যই (রাজনীতি নিয়ে) আমি আজ প্রেস কনফারেন্সে আসছি যাতে পোস্ট ম্যাচে আর কেউ রাজনীতি নিয়ে কথা না বলেন। না হলে ম্যাচের আগের দিন যদি প্রেস কনফারেন্স করতাম এই প্রশ্নগুলো তখন হতো। আমি ব্যক্তিগভাবে মনে করেছি আপনাদের মনে যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে এখনি ফেস করা উচিত।’

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে এলেন নাকি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে এসেছেন এমন প্রশ্ন করলে মাশরাফির সোজাসুজি উত্তর তিনি ব্যক্তিগতভাবেই এসেছেন। মাশরাফি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবেই বলেছি, কালকে রাবিদ ভাইয়ের (বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার) সঙ্গে আলাপ করেছি। যে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। উত্তরগুলো দেওয়া উচিত আমার মনে হয়। আজ হোক কাল হোক আমার ফেস করতেই হতো। খেলার মধ্যে যাতে এই প্রশ্নগুলো না হয় এইজন্যই আমার আসা।’

বাংলাদেশ দলের এ ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমার শেষ আর শুরুতে কিছু যায় আসবে না। এটা আমি ভাবিওনি কোনোদিন, আর ভাবিও না। তবে অবশ্যই সিরিজটা জিততে চাই আমরা। আর আমার চোখে ঠিক আগের ১০টা সিরিজ যেভাবে আগে খেলেছি, ঠিক সেভাবেই খেলব।’

এ সময় নির্বাচনী এলাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি বলেন, ‘এখনো ঘোরার সুযোগ পাইনি আমি, যাওয়ার সুযোগ হয়নি। যেটা বললাম যে ‍সিরিজের জন্য এখনো আমি যেতে পারিনি। পুরা সিরিজটা খেলার পর আমি যাব। এখন তো নড়াইলের মানুষদের ওপরও অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে। এখনো আমি যেতে পারিনি। যাওয়ার পরে হয়তো বা যে কাজগুলা আছে, সেগুলা আমি করব।’

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মাশরাফি। তবে ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি অবসর না নিয়ে কেন নির্বাচন করছেন-এটা নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ওয়ানডে দলের এই অধিনায়ককে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here