খবর ৭১: ত অন্তরায় আর বাধা বিপত্তি আসুক জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের মাঠে থাকবে এমন ঘোষণা দিয়ে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, স্ষ্ঠুু ভোট না হলে দেশের মালিকানা জনগণের হাতে থাকবে না। তিনি বলেন, প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না, পুলিশ নেতাকর্মীদের গেপ্তার ও হয়রানি করছে, এগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। তবে যতো বাধাই আসুক আমরা নির্বাচনে থাকব। ভোটের দিন সবাইকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।
এদেকি সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার গেটের বাইরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পথসভার মাইক খুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। এছাড়া চেয়ার-টেবিল জব্দ করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞার নেতৃত্বে মাইক ও চেয়ার- টেবিল নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ওসি বলেন, দরগায় সভা করার কোন অনুমিত তারা চাননি।
নগর বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, দরগা মাজার জেয়ারতের প্রচার শুরুর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন নেতৃবৃন্দ। এজন্য এখানে একটি ছোট মঞ্চ ও মাইক বসানো হয়েছিল। পুলিশ সবকিছু নিয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বুধবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে জোটের শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান সিলেটে পা রাখেন।
এরআগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও জেএসডি প্রধান আসম রব দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছে কামালদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিমানবন্দর থেকে নেতৃবৃন্দ এখন সোজা হযরত শাহজালাল (রহ.)’র মাজারে যাবেন।
এদিকে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পথসভার মাইক খুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। এছাড়া চেয়ার- টেবিলও জব্দ করা হয়েছে।
এরআগে গত ২৪ অক্টোবর সিলেটে আসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সিলেটের কর্মসূচি দফায় দফায় পরিবর্তন হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কর্মসূচি গ্রহণ ও স্থগিত হয়েছে কয়েক দফায়।
কি কারণে এমন হচ্ছে এ ব্যাপারে মুখও খুলছেন না ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতারা।