মেগা প্রকল্পের ঋণ চাপ হবে না আবুল মাল আবদুল মুহিত

0
248

খবর৭১:অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণও খুব কম। মেগা প্রকল্পের জন্য নেয়া ঋণ ভবিষ্যতে অর্থনীতির জন্য চাপ তৈরি করবে না।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধে কখনও ব্যর্থ হয়নি, এমনকি দেরিও করেনি।

শুক্রবার (৮ জুন) রাজধানীতে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। রীতি অনুযায়ী পরদিন গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় থাকে সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকরা।

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন।

এক সাংবাদিক জানতে চান, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনালের মতো বড় বড় প্রকল্প বিদেশি ঋণে করা হচ্ছে। এটি অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করছে কি না। আর ভবিষ্যতে এটি কোনো চাপ তৈরি করবে কি না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাদ দিলে দেশের ঋণের পরিমাণ ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার।

‘এটা আমাদের মতো একটি দেশের জন্য অত্যন্ত নগণ্য। এটা স্মলেস্ট ডেবট বাজেট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড।’

‘আমাদের ডেবট (ঋণ) পরিশোধ করার রেকর্ড হলো, একটি মুহূর্তের জন্য আমাদের বিলম্ব হয়নি দিতে। আমরা এ রকম রেকর্ড পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের নাই। একমাত্র বাংলাদেশের এই রেকর্ড আছে।’

প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের ঋণগ্রস্ততা হচ্ছে দেশজ উৎপাদনের ৩২ শতাংশ। এর মধ্যে দেশজ ঋণ ১৯ শতাংশ, বিদেশি ঋণ ১৩ শতাংশ।’

জাপানে এটা ২০০ শতাংশ। সিঙ্গাপুরে ১১৭ শতাংশ। বাংলাদেশ অত্যন্ত স্বল্প ঋণগ্রহীতা দেশ।’

‘আপনারা যদি প্রত্যেকটা প্রকল্পকে আলাদা করে বিবেচনা করে দেখেন, প্রত্যেকটা বিনিয়োগে সমসাময়িক প্রভাব আয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে দেশে যে ক্রয়ক্ষমতা সৃষ্টি হবে, দেশে পরিবহন খাতে সহজলভ্যতা হবে, তার ফলে আমাদের উৎপাদন বাড়বে এবং উৎপাদনের একটা বড় অংশ রপ্তানি হবে।’

‘রপ্তানির একটা বড় বাধা পরিবহনে অসুবিধা। এই অসুবিধা দূর করলে আমাদের রপ্তানি বাড়বে। রপ্তানি আয় বাড়লে এখন যেটা বোঝা বলে মনে হচ্ছে, সেটা বোঝা থাকবে না। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেলে দেখা যাবে আমাদের বিনিয়োগ মূলত খুব কম খরচে হয়েছে।’

জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বেসরকারি খাতে কিন্তু এই ধরনের ঋণ নিয়ে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিক্রি লাভবান হয়েছে। সুতরাং আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমান সক্ষমতা অর্জনের জন্য চাপ দিচ্ছি। যাতে তারা কমার্শিয়াল লোন নিয়ে উৎপাদন করে বিক্রি করে তারা ঋণ শোধ করতে পারে।’

তথ্যমন্ত্রী হানাসুল হক ইনু বলেন, ‘ঋণ করে ঘি খাচ্ছি না, ঋণ করে সার কিনছি, বিদ্যুৎকেন্দ্র, কারখানা বানাচ্ছি, পানি কিনছি, উৎপাদন বাড়াচ্ছি। ঋণ করে যদি ঘি খাই তাহলে সেটা অপরাধ। আপনারা খেয়াল করবেন, ঋণ করে যে প্রকল্পগুলো হচ্ছে, সেটা দৃশ্যমান হচ্ছে। এবং তা মানুষের উপকারে আসছে।’

‘মেগা প্রকল্প তো দৃশ্যমান হচ্ছে। ১০টা মেগা প্রকল্পে যাবেন, ছবি তুলতে পারবেন। জমির ওপরে স্ট্রাকচার দাঁড়িয়ে গেছে। মেগা প্রকল্প যুগান্তকারী প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে।’
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here