মুরাদনগরে কিশোরীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি : উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রধান সহচর কারাগারে

0
465
মুরাদনগরে কিশোরীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি : উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রধান সহচর কারাগারে

মোঃ রাসেল মিয়া, মুরাদনগর,কুমিল্লা, প্রতিনিধি ঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার গংগানগর গ্রামের কিশোরী তানজিনা আক্তারকে (১৭) অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনায় মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোরের প্রধান সহচর নুরুল ইসলামসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলা সদরের নুরুল ইসলামের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্য হলেন, বি-বাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কালামুড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান পিন্টুর ছেলে ছয়ফুল্লাহ খান (২১), মুরাদনগর উপজেলার
সদর ইউনিয়নের ছোট আলীরচর গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে কামাল হোসেন (৭০), তার ছেলে নাসির মিয়া (৪০) ও মুরাদনগর গ্রামের ম্যপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৬)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার গংগানগর গ্রামের অপহৃত কিশোরী তানজিনা আক্তারের বাবা মিন্টু মিয়ার মৃত্যুর পর কসবা উপজেলার কালামুড়িয়া গ্রামে তার নানার বাড়ী চলে আসে। সেখানে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান পিন্টুর ছেলে ছয়ফুল্লাহ খান তানজিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।

গত মঙ্গলবার (২৬ মে) বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ছয়ফুল্লাহ খান তানজিনা আক্তারকে মুরাদনগর গ্রামের মধ্যপাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়ীতে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়ে আসার পর ওই বাড়ীতে থাকা ছয়ফুল্লাহ খানের আরো ২জন সহযোগী তানজিনাকে একটি ঘরে আটকে রেখে বুধবার বিকেলে তার
মায়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

সে টাকা না দিলে তার মেয়েকে আটকে রাখা হবে বলে হুমকি দেন অপহরণ কারিরা। আটক থাকা অবস্থায় তানজিনা আক্তার কৌশলে তার আত্মীয় রাজু ও সজীবকে ফোন
করে তাকে কোথায় আটক করে রাখা হয়েছে সেই ঠিকানা দেন। পরে রাজু মুরাদনগর থানায় বিষয়টি অবহিত করলে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে নুরুল ইসলামের বাড়ী থেকে তানজিনা আক্তারকে উদ্ধার করে অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পরে ওই রাতেই তানজিনার মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, নুরুল ইসলাম একজন সাদামাটা মানুষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেতাকে ফাসানো হয়েছে। মূলত যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা নুরুল ইসলামের
বাড়ীতে ভাড়া থাকতো।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচর্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি মুরাদনগর থানায় জানানো হলে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহৃত তানজিনা আক্তারকে উদ্ধার করে অপহরণকারি চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে অপহরণকারি চক্রের ওই ৪ সদস্যকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here