মালদ্বীপে চীনের কাছে হেরে যাবে ভারত?

0
293

খবর৭১: ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে চলছে রাজনৈতিক সংকট। এই সংকটে বারবার ঘুরেফিরে আসছে দুটি দেশের নাম- ভারত ও চীন। দেশটিতে ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থাও।

এদিকে সংকট কাটাতে নয়াদিল্লীতে বিশেষ দূত পাঠানোর যে পরিকল্পনা করেছিল মালদ্বীপ সরকার, সেই চেষ্টার প্রতি অনাগ্রহ দেখিয়ে প্রতিবেশী দেশটির সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য সহায়তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগটি হারিয়ে ফেলেছে ভারত। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে চীন। জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে। আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ভারতের জন্য এটা নিশ্চিতভাবে উদ্বেগের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারত নয়, বরং চীনই বলেছে যে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোকে ‘গঠনমূলক’ ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া যেকোন বহির্শক্তির হস্তক্ষেপের ব্যাপারেও মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মৌলিক মানদণ্ডের কথা উল্লেখ করেছে চীন।

চীনই এখানে মালদ্বীপের সংকট নিরসনে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। চলমান এই সংকটের কারণে মালদ্বীপের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনেকটা থমকে গেছে। মালদ্বীপের ভেঙে পড়া সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে আবারও দাঁড় করানো এবং সংবিধান প্রণেতারা যেভাবে আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন, সেভাবে এটিকে আবার সক্রিয় করার জন্য মালদ্বীপের ভেতরে ও বাইরের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এখানে বেশ কিছু শ্রম ও সময় দিতে হবে।

এদিকে মালদ্বীপের বিশেষ দূতকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। কিন্তু ভারত বিশেষ দূতের জন্য সময় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুপস্থিতি এবং আরব আমিরাত সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচির কারণে সময় দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া চীন ভারতের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছেঅ অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কথা বলছে ভারত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টেলিফোনে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি।

বিশেষ দূতকে অগ্রাহ্য করায় ভারতের ওপর মালদ্বীপ অসন্তুষ্ট হয়েছে। তাদের কাছে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে নয়াদিল্লী তাদের সাথে কথা বলতে চায় না। সেক্ষেত্রে চীন ও পাকিস্তানের সাথে যোগাযোগ করাই তারা গ্রহণযোগ্য মনে করেছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে মালদ্বীপের বিশেষ দূতেরা চীন, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন, যেখানে তাদের সৌজন্যের সাথে স্বাগত জানানো হয়েছে।

মালদ্বীপের পরিস্থিতি এখন জটিল পর্যায়ে রয়েছে। এখন যে কোন ধরনের আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ হতে পারে এখানে। মালদ্বীপের আন্তর্জাতিক প্রভাবসম্পন্ন নির্বাসিত বিরোধীদলীয় নেতা মোহাম্মদ নাশিদের কারণেই এটা হচ্ছে।

মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে বিরোধী দলের প্রতীক নাশিদ অনেকটা নির্লজ্জভাবে ‘সামরিক সমর্থনসহ’ ভারতের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here