মাদক পাচারে ব্যবহার হচ্ছে শাহ আমানত বিমানবন্দর

0
206

খবর ৭১ঃ চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গাঁজা এবং ইয়াবার মতো মাদক পাচারের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে মাদক পাচারের ক্ষেত্রে নেয়া হচ্ছে নানা কৌশল। সর্বশেষ গত সপ্তাহে লেপ এবং জুতার ভেতরে করে পাচারের সময় আটক করা হয় মাদকের দু’টি চালান। এ ধরণের মাদক পাচারে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কায় পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহায়তা নিতে যাচ্ছে পুলিশ।
গত কয়েক মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নানা কৌশলে মাদক পাচারের চেষ্টা চলছে বলে জোর অভিযোগ ছিলো। কিন্তু হাতেনাতে তেমন কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারছিলো না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে দুবাই হয়ে মাস্কাটগামী ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটের দুই যাত্রীর কাছ থেকে থেকে উদ্ধার করা হয় ৬ কেজি গাঁজা। লেপে’র ভেতরে করে অভিনব কৌশলে মাদকের এ চালান পাচারের চেষ্টা চলে
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘কোন আন্তর্জাতিক গ্রুপ এটার সঙ্গে জড়িত কিনা বা দেশীয় গ্রুপে কারা জড়িত এসব কিন্তু আমরা খুব জোড়সোড়ে দেখছি।’
হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাড়ানো হয় মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি। পরদিন ১৯শে মার্চ আবুধাবীগামী আরেক যাত্রীর যাত্রীর জুতার মধ্যে পাওয়া যায় ৫শ ৪০পিস ইয়াবা এবং দু’শ গ্রাম গাঁজা। গত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে এভাবে নানা পন্থায় মধ্যপ্রাচ্যে মাদক পাচার চলছিলো বলে অভিযোগ প্রবাসীদের। বিশেষ করে এধরণের মাদক পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে শঙ্কা তাদের।
ওমান চট্টগ্রাম সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, ‘ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা বেড়ে যাবে। তখন তারা মনে করবে বাংলাদেশ থেকে যারা আসছে তারা মাদক নিয়ে আসছে। ফলে ভিসা বাতিল হতে পারে বলে আমি মনে করি।’
মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী বাদল আনোয়ারা বলেন, ‘এতে বাংলাদেশ থেকে শ্রম রপ্তানিতে বিশেষ প্রভাব ফেলবে।’
তবে গ্রেফতারকৃত তিনজনই ক্যারিয়ার। এ অবস্থায় মাদক পাচারের মূল হোতাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহায়তা নিতে যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘কারা পাঠাচ্ছে মাদকগুলো এবং ওপার থেকে কারা গ্রহণ করছে তাদের চিহ্নিত করতেই আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।’
চালান দু’টি আটকের ঘটনায় নগরীর পতেঙ্গা থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছে সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here