মাদক পাচারে ‘পাঠাও’ ব্যবহার হচ্ছে: র‍্যাব

0
467

খবর৭১: ঢাকায় মাদক আনতে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ‘পাঠাও’কে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্ণেল এমরানুল হাসান।

রবিবার (২৪ জুন) সাড়ে ১১টায় র‌্যাবের কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন কক্সবাজারের ইফতেখারুল ইসলাম (২৫), উত্তরার ওই ভবনের কেয়ারটেকার অলি আহম্মেদ (২৪), ওষুধ কোম্পানির ইনফরমেশন অফিসার মোস্তফা কামাল এবং পাঠাও চালক রানা আহম্মেদ ওরফে রাজু (২৫)।

র‌্যাবের কমান্ডিং অফিসার এমরানুল হাসান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকায় ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবার চালান আনতে কক্সবাজার যেতে চায় না। মাদক ব্যবসায়ী ও ক্যারিয়ারদের চলাচলও সীমিত হয়েছে। সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ইয়াবার একটি চালান এনে ঢাকার উত্তরায় একটি ফ্ল্যাটে মজুত করেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।’

কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে পাঠাওয়ের চালকদের ব্যবহার করা বিষয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ‘পাঠাও’ এর চালকদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদক পরিবহনের মতো গুরুতর তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ‘পাঠাও’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”

এমরানুল হাসান জানান, ‘গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে। ইফতেখারুল ইসলাম নামের একজন জানিয়েছে সে কক্সবাজারের উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত উখিয়ার স্থানীয় কিছু যুবকের বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখে ইয়াবা ব্যবসায় উৎসাহিত হয়। কারণ তার ধারণা ইয়াবা ব্যবসায় দ্রুত লাভবান ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায়। সে নিজে মাদক ব্যবসায় জড়ানোর পাশাপাশি কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় যুবক ও রোহিঙ্গাদের ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে যেতে উৎসাহিত করে। কক্সবাজার থেকে আনা ইয়াবা অবৈধভাবে ঢাকার উত্তরা হতে আশেপাশের মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করার কাজ নিয়ন্ত্রণ করত ইফতেখারুল।’

ইফতেখারুলের বরাত দিয়ে এই র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, ‘তিনি নিজে মাদক ব্যবসা করার পাশাপাশি কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় যুবক ও রোহিঙ্গাদের ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করতো। কক্সবাজার থেকে রাজধানীর উত্তরা ও আশপাশের মাদক ব্যবসায়ীদের ইয়াবা সরবরাহের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতো।’

র‍্যাবের সিও আরও বলেন, ‘পাঠাও চালকদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার তথ্যও আমরা পেয়েছি। তাদের ব্যাপারে তথ্য পেতে আমরা পাঠাওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। মাদক পরিবহনে পাঠাও চালক ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের ব্যবহারের তথ্য পাওয়ায় এ সংক্রান্ত মামলাটি র‌্যাব-৩ তদন্ত করবে।’
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here