মধুমতির নদীর ভাঙ্গনে ৬ গ্রামের মানুষ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে শত শত পরিবারের জীবন সংসার?

0
669

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের মধুমতি নদীর ভাঙন। প্রতিদিনই বাড়িঘর.গাছপালা ফসলি জমি বিলিন হয়ে যাওয়ায় নদীর পাড়ে চলছে কান্না,আহাজারি দুঃখ আর ক্ষোভ। রাক্ষুসী মধুমতির থাবায় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে শত শত পরিবারের জীবন সংসার। সব কিছু হারিয়ে একটু মাথা গোজার ঠাই খুজতে দিশেহারা হয়ে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো। তার পরেও চোখের সামনেই বিলিন হয়ে যায় বাপ-দাদার কবর। এ সব ক্ষতিগ্রস্ত দের মধ্যে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে । আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান,

গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার মহিষাপাড়া, মঙ্গলহাটা, করফা, আতোষপাড়া, শিয়রবর ও ঘাঘা গ্রামে মধুমতি নদী ব্যাপক হারে ভাঙ্গনের রুপ নিয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বাড়ি ঘর। অব্যাহত ভাঙ্গন থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঝুঁকিতে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে মধুমতিতে বিলীন হওয়া মহিষাপাড়া গ্রামের,রকিব মৃধা, ইকরাম মৃধা, জাকির মৃধা, দিলু মৃধা, সেলিম শিকদার মরিয়ম বেগম, চায়না বেগম, জাহানারা বেগম, কুদ্দুস শেখ, হিলু মুসাল্লী,ও শিয়রবর গ্রামে হাসান মুন্সী, আতিয়ার, দেলোয়ার, নিলু, রাজ্জাক, আক্তার, আক্কাস, মিন্টু, ইকবলসহ অনেকেই বাড়ি রয়েছে।মধুমতি নদীর পাড় এলাকার ক্ষতিগ্রস্থরা।
মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বুলবুল শেখ নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে মহিষাপাড়া এলাকায় মধুমতি নদী ব্যাপক আকারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মাননীয় প্রধানন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই প্রত্যাশা তিনি যেন মধুমতি নদীর তীর রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন। শিয়রবর গ্রামের রওশন শিকদার বলেন, আমাদের বাড়ি চার বার মধুমতী নদীতে বিলীন হয়েছে। এ বছর নদী যে ভাবে ভাঙ্গছে তাতে মনে হয় এবারও বাড়ি সরাতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এমএম আরাফাত হোসেন,নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সাহায্যের জন্য আবেদন করলে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আমরা শিয়রবর বাজার এলাকায় ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু মহিষাপাড়া, মঙ্গলহাটা,করফা ও আতোষপাড়া এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার না থাকায় কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here