মিজানুর রহমান, ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা শহরের চকবাজার, মনিহারী পট্টি ও খালপাড় সড়কে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২৮ এপ্রিল (রাত সাড়ে ৩টা) শতাধিক দোকান ঘর সম্পূর্ণ এবং অর্ধশতাধিক আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। দমকল বিভাগের ৮টি ইউনিট প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। আগুন নিয়ন্ত্রন আনতে গিয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যসহ ১৫জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাত পোনে ১টায় দিকে মহাজনপট্টি কৃষি ব্যাংক ভবনের ৪র্থ তলায় ডিস কন্টলরুমে থাকা অবস্থায় তারা প্রথমে মনিহারী পট্টির একটি দোকানের সামনের অংশ ধোয়া উড়তে দেখে তাৎক্ষনিক ভোলা সদর থানায় ফোন করেন। কিছুক্ষনের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকান গুলোতে। প্রথমে ভোলা দমকল বিভাগের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ভোলার খালে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় তাদের কাজ বাধাগ্রস্থ হয়। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মনিহারী পট্টির বিভিন্ন দোকানে রং, স্প্রীড বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। পর্যায়ক্রমে ভোলার অন্যান্য উপজেলার সদরের দমকল বিভাগের আরো ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। খালে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় দমকল বাহিনীর লোকজন ভোলা কোর্ট মসজিদ পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। দমকল বাহিনীর সাথে ভোলার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেনের নেৃতত্বে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সহ সাধারন জনগন আগুন নেভানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। তাদের প্রায় ৪ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় মনিহারীপট্টি, চকবাজার, খালপাড়ার সড়কের শতাধিক দোকান ভস্মিভূত হয়। এসময় আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয় অর্ধশতাধিক দোকানঘর। এতে প্রায় শত কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থদের সূত্রে জানা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রন আনতে গিয়ে দমকল বাহিনীর সদস্য সহ ১৫জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। অনেকের ধারনা বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে আসনে ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল হালিম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন বলেন, আমরা অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টা করি।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের কার্যক্রম তদারকি করছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে সাধ্যমত সহায়তা করা হবে।
খবর ৭১/ ই:
